বাবুল হক, মালদহ: কাটমানি ইস্যুতে প্রতিমুহূর্তে শাসকদলকে বিদ্ধ করে চলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে এবার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মালদহের (Maldah) হরিশচন্দ্রপুরের। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্তের।
জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম লালু ওঁরাও। তিনি মালদহের হরিশচন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য। অভিযোগ, গড়গড়ি এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা ওঁরাওকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভুল বুঝিয়ে ২০ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছেন লালু। উর্মিলা ওঁরাও এবিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে লিখেছেন, তাঁকে ভুল বুঝিয়ে কুড়ি হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এমনকী টাকা না দিলে ঘর দেওয়া হবে না বলে ভয়ও দেখানো হয়েছিল। উর্মিলার কথায়, “লালু বলেছিল ঘরের জন্য সরকারি অফিসারদের টাকা দিতে হবে। তিন কিস্তিতে মোট কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিল। ভুল বুঝতে পেরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কুড়ি হাজার টাকাটা ফেরত পেতে চাই।”
[আরও পড়ুন: টিকাকরণ নিয়ে আলোচনাকে প্রাধান্য, রানাঘাট থেকে দ্রুত ফিরেই মোদির বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা]
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, “এরা ক্ষমতায় না আসতেই এই অবস্থা। জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে বিধবা ভাতার কাগজ, সবেতেই এরা কাটমানি নেয়। এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়।” অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য লালু ওঁরাও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা তৃণমূলের চক্রান্ত।” এপ্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, “এই ব্যাপারে এখনও কিছু শুনিনি। অভিযোগ সত্য হলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কাটমানি নেওয়া তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এটা ওদের চক্রান্ত হতে পারে।”