অর্ণব দাস, বারাসত: ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতে ব্যাপক উত্তেজনা। স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে উঠল তৃণমূলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পালটা পদ্মশিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী তাঁকে চড় মেরেছেন। যদিও মন্ত্রীর দাবি, যে চড় মেরেছে সে তৃণমূল কর্মী নয়। তবে বিজেপি নেতার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় ঘণ্টাখানেক বারাসত-বারাকপুর রোড অবরোধ করে পদ্মশিবির।
শনিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় যান ‘দিদির দূত’রা। ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষও। নীলগঞ্জ খিলকাপুর বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সাগর বিশ্বাস ওই এলাকায় যান। অভিযোগ, এলাকার মন্দির লাগোয়া এলাকার রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ জানাতে যাওয়ার অছিলায় অশান্তি করার চেষ্টা করে। পালটা এক তৃণমূল কর্মী ওই বিজেপি নেতাকে চড় মারে বলেই দাবি পদ্মশিবিরের।
[আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ ও বাস, গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান শুরুর আগে বিপাকে বহু পুণ্যার্থী]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়রা হইচই শুরু করেন। মন্ত্রী রথীন ঘোষ আসরে নামেন। বিজেপি নেতার মুখ থেকে গোটা ঘটনা শোনেন। এরপর তাঁর হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে নেন মন্ত্রী। যদিও পরে রথীনবাবু জানান, ওই যুবককে যে চড় মেরেছে সে তৃণমূল কর্মীই নয়। আক্রান্ত বিজেপি নেতা ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বানচাল করার চেষ্টা করেছে বলেই দাবি মন্ত্রীর।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি টিকলু শর্মার নেতৃত্বে বারাসত-বারাকপুর রোড অবরোধ শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “অগণতান্ত্রিক একটি দল। এই রাজ্যে গণতন্ত্রের জায়গা নেই। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। আপনারা দেখেছেন নিয়োগকে কেন্দ্র করে কেমন অভিযোগ উঠে এসেছে। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির লোকেরা চাকরি করছেন। এর জন্য একাধিক ব্যক্তি জেলে রয়েছেন। ফলে সার্বিকভাবে একটা অগণতান্ত্রিক দুর্নীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়।”