সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভ। আর তার জেরে ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এবার হিরণের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর থেকে খড়গপুরে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেন হিরণ। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর যে সখ্য নেই, তা প্রায় সকলেরই জানা। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগের পর Sangbad Pratidin.In-এর কাছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। দু’জনের মতবিরোধের কথা আরও একবার স্পষ্ট করেন তিনি। ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি কলকাতায় থাকলেই খড়গপুরে জেলা বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে বৈঠক করেন বলেই অভিযোগ হিরণের। আর তার ফলে ক্ষোভেই যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ, তা-ও স্পষ্ট করেন বিজেপি বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব, দামি উপহারের টোপ, কলকাতায় বসেই প্রতারণা মহিলার]
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যদিও খারিজ করে দেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেন, বৈঠকের জন্য ডাকা হলেও, হিরণই যোগ দেন না তাতে। বারবার ডেকে ডেকেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেই পালটা অভিযোগ। হিরণের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি এইসব গ্রুপে বিশ্বাস করি না। গ্রুপ যাঁরা বানিয়েছেন। তাঁরাই দেখবেন। এই ব্যাপারে বিরোধী নেতা আছেন। তিনি জানবেন। বিষয়টি সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা দেখবেন। জনগণ আমাকে জিতিয়েছে। তাই জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে। পার্টির সঙ্গেও থাকতে হবে। এটাই নিয়ম।”
গত কয়েকদিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহলে যেন ঝড় বইছে। গত মাসেই বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশের পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। গত সোমবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন শান্তনু ঠাকুর। সাংসদের দেখানো পথ অনুসরণ করে সদ্যই বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দলের বিক্ষুব্ধ অংশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন হিরণ। বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, সমীরণ সাহা এবং দলেরই বেশ কয়েকজন বিধায়ক নাকি ছিলেন ওই বৈঠকে। এছাড়া বৈঠক চলাকালীন আরও ৪-৫ জন বিধায়কের সঙ্গে কথাও বলেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। আর সব মিলিয়ে পদ্মশিবিরে অস্বস্তির পারদ যে বেশ ঊর্ধ্বমুখী, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।