সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শনিবার দুপুরে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিনই তাঁকে রাজ্যে আনার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারি এড়াতে হাই কোর্টে নতুন করে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন তিওয়ারি দম্পতি। সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি আদালত। আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
আসানসোলে কম্বর বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী তথা কাউন্সিলর চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতে যান তিওয়ারি দম্পতি। নিম্ন আদালতে রাজ্য়ের যুক্তির কাছে হেরে যান তিওয়ারি দম্পতির আইনজীবী। পালটা হাই কোর্টে যান তাঁরা। প্রথমে রক্ষাকবচ পেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন করে আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। শোনা যায়, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হচ্ছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরে দিল্লিতে রয়েছেন তিওয়ারি দম্পতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ দিন আগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের একটি দল দিল্লি পৌঁছয়। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় তারা। কিন্তু বিজেপি নেতার হদিশ মেলেনি। অবশেষে এদিন আগ্রা যাওয়ার পথে জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়ররের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী চৈতালি ছিলেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এই গ্রেপ্তারির নিয়ে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সরব হয়েছেন। তাঁর দাবি, “এই গ্রেপ্তারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতার পরিচয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তারা।” পালটা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সেদিন বিজেপির নেতাদের গাফিলতিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে। অথচ তাঁরা উদ্ধারকাজও দেখতে যাননি। তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।”