অভিষেক টৌধুরী, কালনা: ধর্ষককে ‘পাঁঠা’-র সঙ্গে তুলনা করে তাকে খাঁড়া দিয়ে বলি দেওয়ার নিদান! ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে চর্চার কেন্দ্রের বর্ধমান পূর্বের বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বিকালে কালনা থানা ঘেরাও অভিযানে নেমে তিনি ঘরে-ঘরে ‘খাঁড়া’-র মত ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দেন।
গোপালবাবু বলেন, “ঘরে খাঁড়া রাখবেন। আমি বলছি, পুলিশ কিচ্ছু করতে পারবে না। ঘরে খাঁড়া রাখাটা কোনও অন্যায় নয়। কারণ আপনার বাড়িতে কালীপুজো হয় তো? পাড়ায় কালীপুজো হয় না? আমরা পাঁঠা বলির জন্য খাঁড়া রেখেছি। ঠিক কি না? ওই খাঁড়ায় ধর্ষক বলিও হবে।“ এই মন্তব্যের পরেই উৎসাহী বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। তাদের হাততালি দিতেও দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর উলটো সুর সুকান্তর! ‘অরাজনৈতিক’ নবান্ন অভিযান নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি]
কালনা থানা ও পুলিশের সামনেই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে সরাসরি বলি দেওয়ার মত নিদানের পরেও পুলিশ বিজেপি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের দাবি, দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রকৃত দোষীর সাজাও হবে আদালতের বিচারে। তাহলে বিরোধী দলের একজন পদাধিকারী হয়ে কীভাবে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলি দেওয়ার নিদান দেন তিনি?
যদিও এই বক্তব্যের আগে গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নারীসমাজ বলুন আমরা দুর্গাপুজো করি কি, করি না? দুর্গার দশ হাতে কী আছে? আমি বলছি না আপনারা আগ্নেয়াস্ত্র রাখুন।” এর পরেই তিনি ঘরে ঘরে খাঁড়া রাখার কথা বলেন। যদিও এর আগে তিনি জানান, “আপনার বাড়িতে ধর্ষক রাতের বেলায় যদি কোনও কুকর্ম করতে যায়, আপনি থানায় ফোন করবেন। থানার ড্রাইভার ডাকতে-ডাকতে পুলিশ যেতে-যেতে দুর্বৃত্ত তার কাজ করে চলে যাবে।” জেলা সভাপতিকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় তাকে আর পাওয়া যায়নি।