গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সন্দেশখালির মহিলাদের সাদা কাগজে সই করিয়ে ভুয়ো ধর্ষণের মামলা করার অভিযোগ। গ্রেপ্তার সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি। তাঁকে ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট আদালত।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। সেখানকার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের কীর্তিতে আঁতকে উঠেছিল গোটা বাংলা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে অন্য তথ্য। প্রকাশ্যে এসেছে স্টিং অপারেশনের ভিডিও। যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে শিরোনামে উঠে এসেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই বিস্ফোরক দাবি করেছেন শেখ শাহজাহান ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা মহিলারা। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে এধরণের অত্যাচার হয়নি। শাহজাহানদের বিরুদ্ধে জব কার্ডের টাকা না দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল। কিন্তু বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই কাগজ ব্যবহার করেই ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। এই অভিযোগ ওঠার পরই সন্দেশখালি থানার পুলিশ পিয়ালি দাসকে নোটিস পাঠায়।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত ১০০ মহিলার পাশে রাজ্যপাল, শ্লীলতাহানি বিতর্কের মাঝেই অর্থসাহায্যের ঘোষণা]
মঙ্গলবার আগাম জামিনের আর্জি নিয়ে বসিরহাট আদালতে যান পিয়ালি। আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু পিয়ালির জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। তাঁকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এই গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই দাবি করেছেন পিয়ালির স্বামীর। তাঁর দাবি, পিয়ালিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে বলা হয়েছিল। বিনিময়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ার কারণেই নাকি এই গ্রেপ্তারি। যদিও এ বিষয়ে এখনও তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।