অর্ণব দাস, বারাসত: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে মুকুল রায়ের বীজপুরের বাড়িতে যান বিজেপি নেতা। মঙ্গলবারই তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হন। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মুকুল রায়ের বাড়িতে এসেছেন বলেই জানান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বুধবার মুকুল রায়ের বাড়িতে একঝাঁক তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেখা যায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) এবং সুনীল সিংকে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বহুদিন ধরে মুকুল রায়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও বহুবার সাক্ষাৎ হয়েছে। কলকাতার হাসপাতালে যখন ভরতি ছিলেন তখনও দু-একবার গিয়েছি। আজ উনি মারা গিয়েছেন। এটা অত্যন্ত বেদানাদায়ক। আমি শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি।” মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মাতৃবিয়োগ হয়েছে তাঁর। তাই খুব সাধারণ দু-একটা কথা ছাড়া কিছুই হয়নি বলেই জানান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই এই সাক্ষাৎকে একেবারে অরাজনৈতিক বলে মানতে নারাজ। বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) ভরাডুবির পর বিজেপিতে ‘বেসুরো’ রাজীব। ইতিমধ্যেই তাঁর একাধিক ফেসবুক পোস্ট ও মন্তব্য জল্পনা বাড়িয়েছে। তার উপর সম্প্রতি কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করতেও দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাকে। আবার বিজেপির কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এই প্রেক্ষাপটে মুকুল রায়ের বাড়িতে তাঁর উপস্থিতি যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরছাড়াদের ঘরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করুন, ভোজ পরে খাবেন’, দিলীপকে তোপ খোদ BJP নেতার]
উল্লেখ্য, করোনা (Corona Virus) পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর পরই তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেটা ছিল মে মাসের মাঝামাঝি সময়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা জানান, ফুসফুসের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। সেইমতো চিকিৎসকদের পরামর্শে কৃষ্ণাদেবীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইতে (Chennai)। সেখানেই তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা ছিল। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাদেবীর। এদিন তাঁর দেহ চেন্নাই থেকে কলকাতায় আনা হয়। সল্টলেকের বিডি ব্লকের বাড়ি থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বীজপুরের বাড়িতে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।