মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাংলায় উত্তরপ্রদেশের মত এনকাউন্টার (Encounter) করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তাঁর কথায়, এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলে গুণ্ডা-বদমায়েশদের উত্তরপ্রদেশের মতো এনকাউন্টার করে মারব। পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তাঁদের কটাক্ষ, এটাই তো বিজেপির (BJP) সংস্কৃতি। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপির আরেক নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার বাগনানে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) । তিনি বলেন, “এখানে অনেক রাজা-গজা আছে। ক্ষমতায় এলে রাজা-গজাদের বিকাশ দুবে করে দেব।” সায়ন্তনের দাবি, “উত্তরপ্রদেশে গুন্ডা মস্তানদের পকেটে পুরে রাখে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারা এখন জেল থেকে বের হতে ভয় পায়। তারা জেল থেকে বের হতে চায় না। যদি আবার গাড়ি দুর্ঘটনা হয়!”
[আরও পড়ুন : কাজের প্রস্তুতিতেই কাটল ৪ দিন, সন্ধের পর শুরু দুর্গাপুর ব্যারাজের ভাঙা লকগেট মেরামতি]
প্রসঙ্গত বাগনানের বিধায়কের নাম অরুণাভ সেন ওরফে রাজা। এ নিয়ে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল গ্রামীণ এলাকার সভাপতি পুলক রায়। তিনি বলেন, “এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি এমনটা নয়। ওরা যত এই ধরনের কথা বলবে, ততই ওরা মানুষের থেকে দূরে সরে যাবে।” এই প্রসঙ্গে বিধায়ক অরুণাভ সেন ওরফে রাজা বলেন, “ও একটা জোকার, ওর মন্তব্যের কোন উত্তর দেব না।”
নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে গোলমাল প্রসঙ্গে সায়ন্তনের দাবি, “তেল আপনার, লঙ্কা আপনার, পুড়বেন আপনিই।” বিজেপিকে ‘হনুমানের দল’ বলা নিয়ে বিজেপি নেতার জবাব, “আমরা হনুমানের দল কিন্তু আইএসআই, জামাতের দল নই।” তাঁর কথায়, “আগে থানা জ্বালানো হত, এখন আমরা থানা পোড়াবো না। আমাদের নেতৃত্ব বলেছে, অনশন করবেন। অনশন তো করব। তবে এখন থানার গেটে তালা লাগিয়ে দেব। না খেয়ে আপনারাও মরবেন।” দুর্নীতি প্রসঙ্গে সায়ন্তের কটাক্ষ, “আগে শোনা যেত আলিবাবা চল্লিশ চোর এখন সেটা বদলে হয়েছে আলী মাতা চল্লিশ চোর।”
[আরও পড়ুন : স্বস্তি দিচ্ছে রাজ্যে করোনাজয়ীর হার, দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা জারিই]
প্রসঙ্গত এদিন বিজেপি নেতৃত্ব বাগনান থানায় ডেপুটেশন দেন। সেখানে বিজেপির নেতা খুন হওয়া কিংকর মাঝির দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি, গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি নেতাদের মুক্তির দাবি করা হয়।