রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অংশুপ্রতিম পাল: দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপি নেতা সায়ন্তনু বসু (Sayantan Bose)। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার শ্রীরামপুরে প্রথম তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। পরে আষাঢ়িতেও একইভাবে গাড়ি আটকানো হয় তাঁর। এখনও পর্যন্ত পিংলায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি তিনি।
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী সকালেই ব্যক্তিগত গাড়িতে পিংলার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পথেই ডেবরা থানার শ্রীরামপুরে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। কোনওভাবে পিংলায় তাঁকে যেতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের নেতা। এরপর আষাঢ়িতেও তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। নিয়মশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় তাঁকে পিংলায় যেতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিক। যদিও তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। দলীয় কার্যালয়ে যেতে কেন বাধা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন করেন বিজেপি নেতা। যদিও সে বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এখনও পর্যন্ত পিংলায় দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছতে পারেননি তিনি। পরিবর্তে ডেবরার দলীয় কার্যালয়েই রয়েছেন বিজেপি নেতা।
[আরও পড়ুন: মুখে নেই মাস্ক, শিকেয় দূরত্ববিধি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে চলল ‘করোনা মাতা’র পুজো]
এর আগে শুক্রবার হুগলির তেলিনিপাড়ায় যাওয়ার কথা ছিল সায়ন্তন বসুর। তবে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ জিটি রোডের কাছে সায়ন্তন বসুর গাড়ির আটকে দেওয়া হয়। আটকে দেওয়া হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। মিথ্যা মামলায় বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে এই অভিযোগে ভদ্রেশ্বর থানা ঘেরাওয়ের কথা ছিল তাঁদের। পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিজেপি নেতার। পরে যদিও থানার সামনের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন লকেট-সায়ন্তনরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা-সহ গেরুয়া শিবিরের প্রায় সকলেই। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতেও। পিংলা যাওয়ার পথে সায়ন্তন বসুর গাড়ির আটকাল পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বাদ গেল না বছরখানেকের শিশুও, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকের সন্তান]
The post ভদ্রেশ্বরের পর ডেবরা, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফের পুলিশি বাধার মুখে সায়ন্তন appeared first on Sangbad Pratidin.