সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক অরিন্দম শীলের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে কিছুদিন আগে থেকে যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সেই গুঞ্জনের আঁচ আরও উসকে দিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা (Shanku Deb Panda)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার দিনই পরিচালকের সঙ্গে দেখা করলেন শঙ্কু। শুধু দেখা করলেন না, অরিন্দম শীলের সঙ্গে নিজের ছবি টুইটও করলেন তিনি। যার ক্যাপশন আরও ইঙ্গিতপূর্ণ। ছবিটি পোস্ট করে বিজেপির যুব নেতা লিখছেন,”আজ বিকেলে অরিন্দমদার সঙ্গে চায়ে পে চর্চা। আলোচনা হল সোনার বাংলা নিয়েও।” সেই সঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অফিশিয়াল ফেসবুক পোস্টকে ট্যাগও করে দিয়েছেন তিনি।
যদিও, পরে শঙ্কুকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “অরিন্দমদার (Arindam Sil) কাছে এমনিই চা খেতে গিয়েছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। চা খেতে খেতে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে। বাংলার বর্তমান রাজনীতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সোনার বাংলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।” বিজেপি নেতার স্পষ্ট কথা,”অরিন্দমদা সংস্কৃতি জগতের লোক। শিল্পের লোক। কিন্তু আমার মনে হয়, যতটা কাজ ওঁরা করতে চেয়েছেন, ততটা করার স্পেস পাননি।” বাংলার নির্বাচনের আগে বিজেপি নিজেদের স্লোগান হিসেবে ‘সোনার বাংলা’ শব্দবন্ধটি বেছে নিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শঙ্কুর টুইটে এই ‘সোনার বাংলা’র উল্লেখ আছে। প্রশ্ন উঠছে অরিন্দম শীলের সঙ্গে শঙ্কুদেবের সাক্ষাৎ যদি নেহাত অরাজনৈতিকই হবে, তাহলে টুইটে ‘সোনার বাংলা’র উল্লেখ কেন? এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য,”আমি মনে করি কোনও কিছুই অরাজনৈতিক নয়।”
[আরও পড়ুন: এবার বাম জোটের ব্রিগেডে শ্রীলেখা? সিপিএমের ‘টুম্পা সোনা’ গান শেয়ার অভিনেত্রীর]
প্রসঙ্গত, পরিচালক অরিন্দম শীলের বিজেপিতে (BJP) যোগদানের জল্পনা প্রথম উসকে দিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তিনি দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় হাজির থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে নেবেন অরিন্দম শীলও। কিন্তু সেই সভায় পরিচালককে দেখা যায়নি। পরে পরিচালক নিজে স্পষ্টতই জানিয়েছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দলে তিনি যোগ দেবেন না। এক টুইট বার্তায় অরিন্দমবাবু তখন বলেন,”আমি শুধু সিনেমাটাই বুঝি। সেটাই করতে পারি। কোনও গুজবের দায় আমি নেব না। আর রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও সমাজ বদলানো যায় (বিশেষ করে বর্তমান রাজনীতিতে)। আর এর বাইরেও অনেক কিছু করার আছে।” পরিচালকের সেই মন্তব্যে তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনায় সাময়িক ছেদ পড়লেও, সোমবার শঙ্কুর করা পোস্ট আরও একবার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন সৃষ্টি করেছে।