স্টাফ রিপোর্টার: কাঁথি পুর এলাকায় পথবাতি প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগে এবার নাম জড়াল অধিকারী পরিবারের আরও দুই সদস্যের। শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর (Dibyendu Adhikari) স্ত্রী সুতপা অধিকারী ও শিশির অধিকারী বড় ছেলে কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর। সোমবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস পাঠায় পুলিশ।
সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আরজি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তাঁরা। আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরির এজলাসে। আদালত জানিয়েছে মামলার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: মাফিয়াদের সঙ্গে ‘যোগসাজশ’, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে ৭ ECL কর্তা]
এদিকে, শ্মশান কাণ্ডে এফআইআরে (FIR) নাম থাকা প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর আগাম জামিনের শুনানি ছিল হাই কোর্টে। এদিন শুনানি পিছিয়ে যায় শুক্রবার পর্যন্ত। সেই মামলাতেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। তবে কাঁথি পুরসভার গ্রিন সিটি মিশনের পথবাতি দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার রাতেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চৌহানকে গ্রেপ্তার করে কাঁথি থানার পুলিশ। এদিন কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছোটভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari) পুরপ্রধান থাকাকালীন কাঁথি পুরসভার পথবাতি প্রকল্পে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতিতে নাম জড়ায় শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দেুর, পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র দিলীপ চৌহানসহ অন্যদের।