রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যের ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। তৃণমূলের তরফে দ্রুত নির্বাচন করানোর কথা বলা হলেও কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের একটি টুইটকে ঘিরে আলোচনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। কারণ, রবিবার টুইটে তিনি দাবি করেছেন, জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে হবে না উপনির্বাচন (By-Election)।
তথাগতবাবু ঠিক কী লিখেছেন টুইটে? তিনি লেখেন, “১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় লোকাল ট্রেন (Local Train) চলবে না। জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত উপনির্বাচনও হবে না।” বঙ্গ বিজেপি যে উপনির্বাচন এখন চায় না তা আগেই তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। কেন বাংলায় উপনির্বাচন এখন নয় তার জন্য আটটি কারণের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। অপরদিকে তৃণমূল অবশ্য উপনির্বাচন চেয়ে বারবার দরবার করছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনা কেড়েছে বাবার প্রাণ, পড়াশোনা ভুলে দিন গুজরানের চিন্তায় দুই ভাইবোন]
এর আগেও বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় টুইটে লিখেছিলেন, “বাংলায় লোকাল ট্রেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ। একটা থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন কী করে হবে।” এবার ফের টুইটে লিখলেন জগদ্ধাত্রী পুজোর পর বাংলায় উপনির্বাচন হবে! এক বিজেপি নেতার কথায়, উপনির্বাচন দেরিতে হলে চিন্তা বাড়বে শাসকদলের। উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেশ কিছুদিন ধরেই আগে পুরভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন। কারণ মানুষ পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যে থাবা বসিয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাফিয়ে বাড়ছিল সংক্রমণ। করোনা প্রাণ কেড়েছিল একাধিক প্রার্থীরও। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের আরএসপি (RSP) প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর। ভোট চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। নির্বাচনের পর মৃত্যু হয়েছে গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের। এদিকে দিনহাটা থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও দলের সিদ্ধান্তে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। একইভাবে জিতেও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। কিছুদিন আগেই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই কারণে এই ৭ আসনে হবে উপনির্বাচন।