shono
Advertisement

লোকসভায় হাতছাড়া হতে পারে বাংলার ৩ আসন, আরও পাঁচে জয় নিয়ে সংশয়! চিন্তায় কেন্দ্রীয় BJP

আগামী ৮ মাসের রোডম্যাপ নিয়ে শাহর সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু ও সুকান্ত।
Posted: 09:19 AM Jul 26, 2023Updated: 09:19 AM Jul 26, 2023

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই। তাই বাংলার সংগঠন ও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির দায়িত্ব ফের নিজেদের কাঁধে তুলে নিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গের সংগঠন সরাসরি দিল্লি থেকে অমিত শাহ (Amit Shah) দেখে থাকেন। নির্বাচন পর্যন্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁকে জানাতে বাধ্য থাকবে। মঙ্গলবারের বৈঠকে শুভেন্দু ও সুকান্তকে অমিত শাহ সাফ জানান বলে সূত্রের খবর। আরও দু’টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

প্রথমত, লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে রাজ্য সংগঠনে রদবদল ও আগামী আটমাসে প্রচার কার্যক্রম কীভাবে চলবে তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। প্রচারে মূলত বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে আক্রমণ করার পাশাপাশি তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেসকে এক সরলরেখায় বসিয়ে প্রচার সংগঠিত করতে হবে বলে নির্দেশ দেন শাহ। সূত্রের খবর, বৈঠকে বাংলার লোকসভা আসন ধরে ধরে আলোচনা হয়। গতবার জেতা ১৮টি আসনের মধ্যে ৩টি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সবকটিই দক্ষিণবঙ্গের। আবার এমন পাঁচটি আসন রয়েছে যেখানে জয় নিয়ে সংশয় রয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের দু’টি আসন ও উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন রয়েছে বলে অমিত শাহকে শুভেন্দু ও সুকান্ত জানান। আবার বীরভূমের দু’টি আসন ইতিবাচক বলেও শাহকে জানান তাঁরা। সেক্ষেত্রে দলের পক্ষে নেতিবাচক আসনগুলিতে প্রার্থী বদল ছাড়াও আর কী কী করা যায় তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় হলে সূত্রের খবর।

[আরও পড়ুন: ধোপে টিকল না ইডির আপত্তি! হাই কোর্টে অভিষেকের মামলার এজলাস বদল নয়]

মঙ্গলবার গভীর রাতে অমিত শাহর বাসভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও সুকান্ত। বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের কথা ভেবে আগামী আট মাসের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। রোড ম্যাপ-এ আগামী নির্বাচন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূমিকা কী হবে তা উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে দল ও সঙ্ঘের বড় অংশই তাঁর প্রবল বিরোধী। শুভেন্দুর দায়িত্ব বাড়ালে তিনি একনায়কতন্ত্র চালাবেন। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়বে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছে শুভেন্দু বিরোধীরা।

তবে বর্তমান সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার সম্পর্ক ‘সুমধুর’। সভাপতি সব সিদ্ধান্ত তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই নেন। তাই রাজ্য বিজেপির সভাপতির চেয়ারে বসতে চান না। দিল্লিতে আসার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রকাশ্যে এমন বললেও আদৌ অমিত শাহর প্রস্তাব ফেরাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে দলের অন্দরে। সেক্ষেত্রে তাঁকে ছাড়তে হবে বিরোধী দলনেতার চেয়ার। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভরাডুবি হলে দায় চাপবে তাঁর উপর। সব ভাবনাচিন্তা করেই সভাপতির চেয়ার নিয়ে শুভেন্দুর এমন দাবি বলে মনে করছে দলের একাংশ।

[আরও পড়ুন: ছড়াতে পারে ডেঙ্গু, বাংলাদেশ থেকে আগত পর্যটকদের হতে পারে রক্তপরীক্ষা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement