ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপিতে আরও বড় ভাঙন কি সময়ের অপেক্ষা? খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সেই জল্পনাই উসকে দিলেন। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসাবে নিজের কাজের রিপোর্ট পেশের অনুষ্ঠানে অভিষেক বলে দিলেন,”বিজেপি নেতারা তৃণমূলে আসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা দরজা খুলে দিলে দলটা উড়ে যাবে।”
শনিবার ডায়মন্ড হারবারের সভায় বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করে অভিষেক বলেন, “খুব তো বলেছিল আব কি পার ২০০ পার! কী হল? সত্তরে থেমে গেল তো! বিজেপি নেতারা তো লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তৃণমূলে ঢুকবে বলে। আমি তো গেট বন্ধ করে রেখেছি। গেট খুললে তো সব উড়ে যাবে।” ইডি-সিবিআইকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র করা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আগেও সরব হয়েছেন অভিষেক। এদিন ফের সুর চড়িয়ে বলেন, “তোমাদের কাছে ইডি আছে, অর্থবল আছে। আমাদের মানুষ আছে। মমতার ছবি আর কর্মীরা আমাদের শক্তি। এই কর্মী আর কোথাও পাবেন না।”
[আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’, ৮ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের]
বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জনা সাতেক বিধায়ক বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধায়ক বা স্থানীয় স্তরের নেতারা তো বটেই, অর্জুন সিং, সব্যসাচী দত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটরাও ইতিমধ্যেই ‘ঘর ওয়াপসি’ করেছেন। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন, আরও বহু নেতাই লাইনে আছেন। তবে সব নেতাকে যে তৃণমূলে নেওয়া হবে না, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন:‘এক ডাকে অভিষেক’, মানুষের অভাব-অভিযোগ জানতে নয়া পরিষেবা সাংসদের]
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এদিন স্পষ্ট করে দেন, তৃণমূলে কর্মীরাই সব। কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, “এই দলে ২ নম্বর কেউ নেই। এক নম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২,৩ নম্বর আপনারা, তৃণমূলের কর্মীরা।”