শেখর চন্দ্র, আসানসোল ও বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোট এগিয়ে আসতেই রাজ্যজুড়ে বাড়ছে অশান্তি। একদিকে দিনহাটায় (Dinhata) এক বিজেপি নেতার রহস্য মৃত্যু ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। আবার অন্যদিকে বিজেপি নেতার বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বার্নপুরে। দুটি ঘটনাতেই কাঠগড়ায় তৃণমূল।
বুধবার সকালে দিনহাটা শহর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি অমিত সরকার (৫০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি কার্যালয়ের লাগোয়া পশু চিকিৎসালয়ের বারান্দায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তাঁকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকে দিনহাটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। পরে অবশ্য দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দলীয় কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন দিনহাটার বিজেপি প্রার্থী নীশীথ প্রামাণিক।
[আরও পড়ুন : বঙ্গে ভোট বৈতরণী পার করাতে ‘ট্রাম্প কার্ড’ স্বাস্থ্যসাথী! আশায় বুক বাঁধছে তৃণমূল]
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অশোক মণ্ডল জানিয়েছেন, গতকাল একটি নির্বাচনী সভা ছিল। তার পরেই আমাদের নেতাকে খুন করা হয়েছে। অমিতের দেহের পা মাটিতে ছুঁয়েছিল। যা দেখে মনে হচ্ছে ওঁকে খুন করে এখানে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলই এই কাজ করেছে বলেই আমাদের ধারণা। জবাবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায় বলছে, “যে বা যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা কি কোনও তৃণমূল নেতাকে খুন করতে দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন, তাহলে এগুলি বলে কোনও লাভ নেই। এখন কমিশনের হাতে রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা। তাঁরা তদন্ত করে দেখুক।”
অন্যদিতে বিজেপি নেতার বাড়িতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বার্নপুরে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বার্নপুরের রাঙাপাড়া এলাকায়। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি দ্বিগবিজয় সিং এর বাড়িতে ৮ থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুস্কৃতীরা। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না দ্বিগবিজয় সিং। তাঁর বাবা-মা ছিলেন। বাড়ির লোকদের ভয় দেখানোর জন্যই গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হীরাপুর থানার পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা বিদায়ী বিধায়ক ও বিদায়ী মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও আসানসোল উত্তরের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়।