সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুত্ব ও দেশাত্ববোধের প্রকল্প। যার একনিষ্ঠ কারিগর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের প্রাক্তনী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এই হল গত দেড় দশকে দেশে গেরুয়া ঝড়ের অন্যতম কারণ। সঙ্গে রয়েছে উন্নয়নমুখী আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার। এত করেও কেবল গুজরাটেই নিরুঙ্কুশ জয় পাচ্ছে বিজেপি (BJP)। পিছু ধাওয়া করলেও হিমাচলে কংগ্রেসই (Congress) সংখ্যা গোরীষ্ঠ দল হতে চলেছে। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দলের জয় সেখানে নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া যায়। তবে ঘোড়া বেচাকেনা হলে কী হবে, ‘অপরেশন লোটাসে’র ঝামেলা হবে কিনা, তা এখনও বলা কঠিন। তবে পাঁচ রাজ্যে উপনির্বাচনে ফল ভাল হচ্ছে না মোদি-শাহদের। এমনকী খারপ ফল হল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দু’টি বিধানসভা আসনের একটিতে জিতল রাষ্ট্রীয় লোকদল (Rashtriya Lok Dal), অন্যটিতে বিজেপি। খাটাউলি বিধানসভায় উপরনির্বাচ জিতলেন আরএলডি প্রার্থী মদন ভাইয়া। যদিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল বিজেপির রাজকুমার সাইনির সঙ্গে। অন্যদিকে রামপুর কেন্দ্র বিজেপির আকাশ সাক্সেনা। এদিকে মইনপুরী লোকসভায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ২ লক্ষ ভোটে এগিয়ে জেতার পথে অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) স্ত্রী ডিম্পল যাদব (Dimpal Yadav)। উল্লেখ্য, মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুর কারণে এই আসনে ভোট হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে গিয়ে জয় হার্দিকের, হার কংগ্রেসের জিগনেশের! কী হল বাকি হেভিওয়েটদের?]
এদিকে ওড়িশায় (Odisha) বিজেপিকে পিছনে ফেলে ১ আসনের উপনির্বাচনে এগিয়ে বিজু জনতা দল (BJD)। ইতিমধ্যে পদমপুর বিধানসভার ৫৭.৬৭ শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে নিয়েছে বিজেডি। বিজেপি পেয়েছে ৩৭.৭৩ শতাংশ ভোট। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) একটি আসনে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ভানুপ্রতাপপুরের আসনে ৪৪.৩ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের দখলে। জয় নিশ্চিত। রাজস্থানে (Rajasthan) সর্দারশহর বিধানসভা আসনে ৩০ হাজার ভোটে এগিযে কংগ্রেস। বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত।
[আরও পড়ুন: দোষ কি শুধু আপের? গুজরাটে কংগ্রেসের ভরাডুবির আসল কারণ কী কী?]
যদিও বিষয়টা খানিক বদলাচ্ছে বিহারে (Bihar) এসে। গেরুয়া প্রার্থী কেদার প্রসাদ গুপ্ত আড়াই হাজার ভোটে এগিয়ে । সম্ভবত তিনিই জিতছেন এই আসনটিতে। তথাপি বলাই যায়, চলতি নির্বাচনী আবহাওয়ায় গুজরাট ছাড়া অন্য কোথাও বিজেপি দাপট দেখা গেল না। যদিও হিন্দুত্ববাদ, দেশাত্ববোধ এবং তার কারিগর মোদিকে কম প্রচার করেনি গেরুয়া শিবির।