সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বউ হারালে বউ পাওয়া যায়... কিন্তু প্রাণটা যদি বেঘোরে চলে যায়, সেটা তো আর পাওয়া যাবে না! সেই ভয়েই স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিকের বিয়ে দিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের বাবলু। নিয়ম মেনে, রেজিস্ট্রি সেরে বউয়ের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর বাবলু বলছেন, আজকাল তো মেয়েরা স্বামীদের মেরে ফেলছে। বেশ ভয়ে আছি।

উত্তরপ্রদেশেরই মিরাটে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত সৌরভের খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। স্বামী সৌরভকে কেটে ১৫ টুকরো করে ড্রামে লুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অপরাধে অভিযুক্ত তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্লাও। তদন্তকারীদের প্রশ্নের জবাবে মুসকান জানিয়েছেন, আসলে সৌরভের সঙ্গে আর থাকতে চাইছিলেন না তিনি। বরং পুরনো বন্ধু সাহিলের সঙ্গে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন যে, তাঁকেই বিয়ে করতে চাইছিলেন। কিন্তু সেজন্য দরকার ছিল ডিভোর্স। যা দিতে রাজি ছিলেন না সৌরভ। তারপরেই মুসকান ও সাহিল মিলে খুন করেন সৌরভকে।
এই ঘটনাতেই ভয় পেয়ে যান গোরক্ষপুরের বাসিন্দা বাবলু। ২০১৭ সালে রাধিকা নামে একজনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দু'টি সন্তানও রয়েছে তাঁদের। কিন্তু কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকতে হয় বাবলুকে। সেই সময়েই গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাধিকার। প্রায় দেড় বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। সন্দেহ হতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে গ্রামে ফেরেন বাবলু। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিকাশ নামে এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের প্রমাণও পেয়ে যান।
কিন্তু প্রমাণ পেলেও স্ত্রীর সঙ্গে কোনও রকম অশান্তি করেননি। বরং পরিবার এবং গ্রামের সকলকে বিষয়টি জানান। সিদ্ধান্ত নেন, বিকাশ এবং রাধিকার বিয়ে দেবেন। সেই মতো শিব মন্দিরে গিয়ে দুজনের সামাজিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরে আইনি মতেও বিয়ে সারেন বিকাশ এবং রাধিকা। গোটা বিয়ের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু স্বয়ং। এমনকি দুই সন্তানকে মানুষ করার দায়িত্বও তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। হাসিমুখে ছবি তুলেছেন নবদম্পতির সঙ্গেও।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? প্রশ্নের উত্তরে বাবলু জানান, "নিজের ক্ষতি এড়াতেই ওদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আজকাল তো দেখছি স্ত্রীরাই স্বামী খুন করে দিচ্ছে। বিশেষ করে মিরাটে যা হল, সেটা দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমার স্ত্রীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেব। তাতে আমরা দুজনেই শান্তিতে থাকতে পারব।" তবে এই বিয়ে আদৌ বৈধ কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।