নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই গ্রামে শহিদ বেদি বানাল বিজেপি। যা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করতে বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধের শিকার যারা তাঁদের সম্মান জানাবে বিজেপি।
২১ মার্চ। সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনে বগটুই মোড়ে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। তারই প্রতিক্রিয়ায় ভাদু অনুগামীরা গ্রামের ভিতরে ঢুকে ঘরের ভিতরে নিরীহ মেয়ে, শিশু-বৃদ্ধাদের কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে গণহত্যা করে। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় দশজনের। সেই ঘটনার পরে পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে এসে স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের পরিবারকে চাকরি ও আর্থিক সাহায্য দেন। সেই ২১ মার্চকে সামনে রেখে বগটুই গ্রামে শহিদ স্মরণের আয়োজন করছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘আমার মুন্ডু কেটে নিন, এর বেশি ডিএ পাবেন না’, সরকারি কর্মীদের বার্তা মমতার়]
স্বজনহারা মিহিলাল শেখের বাড়ির দেওয়ালে গড়ে উঠছে সেই বেদি। মিহিলাল শেখ জানান, “গত এক বছর আমরা শান্তি ঘুমতে পারছি না। মা-স্ত্রী-কন্যা সবাইকে হারিয়েছি। এই কষ্ট যেন আর কারও না হয়। সেদিন আমরা স্বজনদের স্মরণ করব। তাই যারা আমাদের পাশে দাঁড়াবে তাঁদের সঙ্গে আমরা আছি।” উল্লেখ্য নলহাটিতে বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতার হাত ধরে স্বজনহারা পরিবারের শেখ বদর বিজেপিতে যোগ দেয়। উল্লেখ্য, বগটুই গ্রামে বদর শেখের হাত ধরেই প্রথম সিপিএম, পরে তৃণমূল গ্রামে ঢুকেছে। বিজেপির সংখ্যালঘু শেখের জেলা সভাপতি আবদুল লতিফ জানান, “বগটুই-সহ আশপাশের চারটি গ্রামের সংখ্যালঘুরা শহিদ স্মরণে হাজির হবে।”
তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, বিজেপি এখন সংখ্যালঘু তোষণে নেমেছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তারা। একটা বিভেদ করতে চাইছে। এলাকার মানুষ জানেন, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আবার স্বজনহারাদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানান, “তৃণমূল তৃণমূলকে মেরেছে। এই কষ্টের দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাইছি। শহিদ দিবসে শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্যের নেতারা আসবেন। সেদিনই এলাকার সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দেবে শুধু সাগরদিঘি নয়, মুসলমানরা রাজ্যের উন্নয়ন চান।”