নব্যেন্দু হাজরা: নারী নির্যাতন নিয়ে দেশজুড়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। মণিপুর ইস্যুতে যেমন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা, তেমনই পালটা দিতে রাজস্থান, বাংলার ঘটনাকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রীদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার তৃণমূল সরকার মণিপুর ইস্যুতে সরব হতেই পালটা মালদহ নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে কোনও বিশেষ ঘটনা কিংবা জায়গার নাম উল্লেখ না করেই মন্ত্রীদের সতর্ক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু সামনেই মহরম, মুসলিম সম্প্রদায়ের সেই পরবে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই খবর। মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি হিসেবে নেতারাও হাজির ছিলেন। তাঁদেরও সতর্ক থাকতে বলেন মমতা।
[আরও পড়ুন: পেটের তাগিদে জঙ্গলে যাওয়াই কাল, স্ত্রীর পাশ থেকে মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল দক্ষিণরায়]
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্তি ছড়াতে পারে। ফেক ভিডিও ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাতে বাংলায় শান্তির বাতাবরণ নষ্ট হতে পারে। সেই কারণেই প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলেছেন মমতা বলেই শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মালদহের কালিয়াচকে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এমনকী নাবালিকার মৃতদেহ যে অমানবিকভাবে পুলিশ কনস্টেবলরা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। সম্প্রতি আবার মালদহের পাকুয়াহাটে দুই আদিবাসী মহিলাকে অকথ্য অত্যাচার করার অভিযোগ ওঠে। নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ বিজেপি নেতার। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? মণিপুরে নারী নির্যাতনের পালটা দিতে এভাবেই বাংলাকে নিশানা করছে বিজেপি। সেই কারণে মহরমের আগে প্রত্যেককে সতর্ক করলেন মমতা।