টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: খোদ বিধায়কের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রাস্তা। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। মেরামতির নূন্যতম উদ্যোগও নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। শেষে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি নিজেই ঝুড়ি-কোদাল হাতে নামলেন রাস্তায়। শুরু করলেন মেরামতের কাজ। বাঁকুড়ার কেলাই গ্রামের এই ভিডিও সোশ্যল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিধায়কের এই পদক্ষেপকে নাটক বলে কটাক্ষ করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা।
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের কেলাই গ্রামের বাসিন্দা শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। অভিযোগ, গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের রাঙামেটা থেকে বিধায়কের গ্রাম কেলাই ছুঁয়ে রাজামেলা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। যার ফলে প্রবল সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা। গ্রীষ্মে তাও সাইকেল চালানো যায়। বর্ষায় হাঁটাচলাও দায়। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় কাঁধে চাপিয়ে। কারণ, অ্যাম্বু্ল্যান্স ওই রাস্তায় ঢোকা কার্যত অসম্ভব। বিষয়টি বারবার প্রশাসনের নজরে এনেও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ। বাধ্য হয়েই স্থানীয় বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি নিজের বিধায়ক তহবিলের বরাদ্দ থেকে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নিলেন। দেখা গেল, ঝুড়ি-কোদাল নিয়েই রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছেন বিধায়ক নিজেই। সঙ্গী তাঁর স্বামী ও কয়েকজন বিজেপি নেতা।
[আরও পড়ুন: কাজ সেরে খেতে যাওয়ার পথে গাড়ির ধাক্কা, উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের]
বিধায়কের অভিযোগ, এলাকাটি তাঁর। সেই কারণেই স্থানীয়দের সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বহুবার আবেদন করার পরও রাস্তা মেরামত হয়নি। তাই নিজের বেতনের টাকায় পাথর ও মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন চন্দনা। বিধায়কের এই উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের প্রশংসা কুড়ালেও একে নাটক বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল পরিচালিত গঙ্গাজলঘাঁটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজির দাবি পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিধায়ক নাটক করছেন।