সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের অনতিদূরেই বসে মদ্যপান এবং আমিষ ভোজ। হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে আইনি বিপাকে অরহান আত্রামানি ওরফে ওরি। বলিউডের সেলেব সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার-সহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল গত ১৫ মার্চ। ইতিমধ্যেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে বৈষ্ণোদেবী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মদ-মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠতেই নেটপাড়ার রোষানলে ওরি। কাশ্মীর পুলিশ প্রশাসনের তরফেও সোমবার এক বিবৃতি জারি করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, "কড়া হাতে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।" সেই আবহেই হিন্দু ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ওরি এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিজেপির একাংশ।

কাটরার ওই হোটেলে ওরি ছাড়াও পার্টি করছিলেন দর্শন সিং, পার্থ রায়না, হৃতিক সিং, রাশি দত্ত, রক্ষিতা ভোগান, শাগুন কোহলি এবং অনাস্তালিয়া আরজামাসকিনা। নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও হোটেলে বসে মদ্যপান এবং আমিষ খেয়েছেন তাঁরা। সেপ্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম রানধাওয়ার মন্তব্য, "ওদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো উচিত ছিল। এহেন ঘৃণ্য কার্যকলাপ কোটি কোটি পুণ্যার্থীর ভাবাবেগে আঘাত করেছে। চরমতম শাস্তি দেওয়া হোক ওদের। আর ওদের ব্যাগ কেন তল্লাশি করা হল না কিংবা মদ কোথা থেকে এল? সেই বিষয়েও একটা তদন্ত হওয়া দরকার। শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত ওরি-সহ বাকি সাত জন যেন কাশ্মীর ছেড়ে বেরতে না পারে।" সুর চড়ালেন আরেক বিজেপি নেতা বলবন্ত সিং মানকোটিয়া। তাঁর মত, "কাটরা অত্যন্ত 'পবিত্র শহর'। যেখানে মদ তো দূর অস্ত, কোনও আমিষ খাবার অবধি পাওয়া যায় না। আমি চাই, ওরি এবং ওঁর সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুক পুলিশ।"
প্রসঙ্গত আম্বানিদের পার্টি হোক বা মণীশ মালহোত্রার প্রি-দিওয়ালি পার্টি, বি-টাউনের হেন কোনও অনুষ্ঠান নেই যেখানে ওরিকে দেখা যায় না! রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে সুহানা খান, জাহ্নবী কাপুর থেকে সলমন খান, সবার প্রিয় ওরি। সোশাল মিডিয়াতেও তাঁকে ঘিরে কৌতূহল প্রচুর। কারণ তারকাদের অন্দর মহলেও ওরির অবাধ যাতায়াত। ওরি একবার জানিয়েছিলেন, এক রাতে শুধুমাত্র সেলফি তুলে তিনি ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আয় করে ফেলেন। সেই সেলেব সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবার জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে আইনি বিপাকে পড়লেন আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে।