রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী উভয়েই। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির যুব শাখায় সাংগঠনিক রদবদল। যুব মোর্চার মুখ তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বাংলায় জমি শক্ত করতে তবে কি সুকান্ত, দিলীপের পর শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ হিরণেই আস্থা রাখছে গেরুয়া শিবির, ওয়াকিবহাল মহলে উঠছে প্রশ্ন।
যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। কসবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইন্দ্রনীল খাঁ সেভাবে পরিচিত মুখ নন। এবার হিরণেই আস্থা রাখল গেরুয়া শিবির। অভিনেতা এবং বর্তমানে একজন বিজেপি বিধায়ক হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে হিরণের। সে কারণেই হয়তো তাঁকে বেছে নেওয়া হতে পারে। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যুব তৃণমূলের মুখ সায়নী ঘোষ। তিনি তারকা। তাই তার পালটা হিসাবে যুব মোর্চায় অভিনেতা-বিধায়কে হিরণকে আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাজ ফুরোলেই… অভিমানে পুরস্কারের টাকা ফিরিয়ে দিলেন উত্তরকাশীর ‘ত্রাতা’ র্যাট হোল মাইনাররা]
২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন হিরণ। খড়গপুর সদর থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসিও হাসেন তিনিই। তবে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। বারবারই দুজনের মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। কখনও বৈঠক তো কখনও জনসভায় একে অপরকে এড়িয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে বিজেপিতে আর কোনও পদে নেই দিলীপ ঘোষ। শুধুমাত্র খড়গপুরের সাংসদ তিনি। এদিকে, আবার হিরণ শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই শোনা যায়। তবে কি যুব মোর্চার ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার নেপথ্যে সে সমীকরণও খানিক কাজ করেছে, প্রশ্ন উঠেছে।