জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিধানসভায় সাক্ষাতের পরও সুর বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। শুক্রবার রীতিমতো বেসুরে কথা বললেন বনগাঁ (Bongaon) উত্তর বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সাংবাদিক বৈঠকে তোপ দেগে তাঁর বক্তব্য, শান্তনু ঠাকুর দলের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। মতুয়াদের ব্যবহার করে দলের উপর অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করছেন। এদিন তিনি বলেন, ”মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করছেন শান্তনু। দলের সঙ্গে ব্ল্যাকমেল করে বনগাঁকে আলাদা সাংগঠনিক জেলা করিয়েছেন। দলকে তিনি রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে সভা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরই। মতুয়াদের প্রতিনিধি হিসেবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়াদের আশ্বাসবাণী দিতে তাঁর আমন্ত্রণেই এসেছিলেন অমিত শাহ। অভিযোগ, সেই সভায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। ঠিক তারপরের দিনই এ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানালেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। বিধায়ক বলেন, ”সিএএ (CAA) নিয়ে শান্তনু অনেক কিছু বলছেন। বলছেন, আজই সিএএ চালু করতে হবে। আমি মনে করি, যাঁরা ভোট দেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক। তাঁদের ভোটেই তো আমি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছি। তাঁরা তো আর অবৈধ নাগরিক নন।” এরপর তাঁর আরও কটাক্ষ, ”করোনার টিকাকরণ শেষ হতে ১০ বছর লাগবে। তাহলে শান্তনু এবার মতুয়াদের কী বলবেন? আসলে মতুয়াদের নাম করে শান্তনু নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করছেন।”
[আরও পড়ুন: আইনি রক্ষাকবচ সত্ত্বেও বাধার মুখে বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’, মুর্শিদাবাদে আটকানো হল রথ]
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ”অমিত শাহের সভায় দল অতিথিদের যে তালিকা করে পাঠিয়েছিল, শান্তনু সেই তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে নিজের মতো করে তালিকা তৈরি করেছেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শান্তনু কুমিরের কান্না কাঁদছেন।” তাঁর আরও কটাক্ষ, ”শান্তনু নিজের বাবা, মাকে সম্মান করে না। দলকে কী করে সম্মান করবে?’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ এদিন ফের বলেন, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ কোটি মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে আমি এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম।” তবে তিনি তৃণমূলে ফিরে যাবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখলেন। বললেন, ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ শিগগিরই জানাবেন।