টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) এখন দূরঅস্ত। তা সত্বেও বাঁকুড়ার তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দলীয় কর্মীদের ভোকাল টনিক দিতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) অমরনাথ শাখা। বলেন, “ভোট লুঠ করতে যেমন কুকুর আসবে তেমনি মুগুর দিয়ে আপনারা ব্যবস্থা করবেন। তারপর আমরা বাকিটা বুঝে নেব”।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া (Bankura) দু’নম্বর ব্লকের বাগানপুকুর এলাকায় গিয়ে স্থানীয় দলীয় কর্মীদের উপস্থিতিতে এই নিদান দেন বিজেপি বিধায়ক। এর আগেও একাধিকবার নানা কুরুচিকর বক্তব্য দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ওন্দার এই বিজেপি নেতা। বিধায়কের এই বক্তব্য প্ররোচনামূলক বলে প্রতিবাদে সরব তৃণমূল (TMC)। শাসক নেতারা বলছেন, এরপর এলাকায় অশান্তি হলে তার সব দায় নিতে হবে এই বিধায়ককে। দলীয় বিভিন্ন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এর আগে একাধিকবার উত্তেজিত মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বাঁকুড়া দু’নম্বর ব্লকের বাগানপুকুর এলাকায় স্থানীয় একটি দুস্থ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রামে ভোট লুঠের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন তিনি। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এদিনের সভায় উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের এই নিদান দিতে শোনা গেল। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছর ভালো থাকার জন্য পঞ্চায়েত ভোটের দিন নাওয়া খাওয়া ভুলে এলাকার বুথ রক্ষা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা নাকি খুন? সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্কুলছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে বর্ধমানে চাঞ্চল্য]
তাঁর কথায়, “এরপরও কেউ ভোট লুঠ করতে এলে, যেমন কুকুর আসবে তেমন মুগুর দিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।” এই বিষয়টা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক ছড়াতেই নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বিধায়ক বলেন, “নিদান দেওয়ার কিছু নেই। মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। উপর তলার চোরদের ধরা হয়ে গেলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমরা নিচুতলার চোরদের ধরে জেলে ভরব।”
[আরও পড়ুন: এক্সিট পোলে এগিয়ে কংগ্রেস, কর্ণাটকের ফল নিয়ে কী বলছে দেশের সেরা সাট্টা বাজারগুলি?]
বিজেপি বিধায়কের এই নিদানের প্রেক্ষিতে সমালোচনায় সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, দু’বছরের বেশি সময় ধরে অমরনাথ শাখা বিধায়ক রয়েছেন। কিন্তু এলাকার মানুষ প্রয়োজনে তাঁকে পাশে পাননি। এখন একটা করে ইস্যু তৈরি করে লাগাতারভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এর জন্য এলাকায় অশান্তি তৈরি হলে তার দায় বিধায়ককেই নিতে হবে।