ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোর্খাল্যাল্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) অধীনস্থ স্কুলেও নিয়োগে দুর্নীতি! অভিযোগ জানিয়ে সিবিআইকে (CBI) চিঠি দিলেন কার্শিয়াংয়ের বিজেপি (BJP) বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা (Bishnu Prasad Sharma)। ইতিমধ্যে এই অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আরজিও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে গোর্খাল্যান্ডের অন্তর্গত প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের (BJP MLA) দেওয়া চিঠি অনুযায়ী, প্রাথমিকে ১২১ জন, উচ্চ প্রাথমিকে ৫৯ এবং মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ হয়েছিল। সেই নিয়োগে বিস্তর গরমিল রয়েছে বলে দাবি তাঁর। বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার অভিযোগ, যোগ্য প্রার্খীদের বদলে চাকরি পেয়েছেন অন্যরা। বেশিরভাগ চাকরির জন্য কোনও সরকারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলার জারি করা হয়নি। নেওয়া হয়নি কোনও পরীক্ষা বা ইন্টারভিউও। এমনকী, শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠিও দেখা হয়নি বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে বিপাকে, তদন্তের মুখে ৬১ জন প্রাথমিক শিক্ষক]
এই নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের একটি সংগঠন। এবার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি সিবিআইকে চিঠি দিলেন বিধায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত নথি ১৬ তারিখ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। সোমবার বিধানসভার বাইরে এমনটাই জানালেন বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। তাঁর কথায়, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ভবিষ্যতের জন্য এই দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, জুনের শেষে জিটিএ নির্বাচন। তার আগে নিয়োগ দুর্নীতির ধুঁয়ো তুলে কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিজেপির পালে হাওয়া টানতে চাইছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু তার ফল কি আদৌ ভোটবাক্সে পড়বে, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনীতিবিদরা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। এবার পাহাড়ের একাধিক স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সিবিআই তদন্ত চাইলেন বিজেপি বিধায়ক।