তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: প্রচণ্ড গরমে রাজ্যবাসীর হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রাণও হারাচ্ছেন অনেকেই। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহেরও সতর্কতা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সরকারি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি এগনো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে ছুটি না দেওয়ার আরজি শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সরব তিনি।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ (BJP MLA Shankar Ghosh) বলেন, “দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ চলছে। উত্তরবঙ্গে মনোরম পরিবেশ। উত্তরবঙ্গে কেন বন্ধ থাকবে স্কুল। উত্তরবঙ্গে কিছু হলে দেখতে আসার লোক পাওয়া যায় না। এই ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দেখে আমারও মনে হয়েছে উত্তরবঙ্গকে বারবার বঞ্চিত করা হয়। তাহলে আমার মনে হয় উত্তরবঙ্গের প্রত্যেককে একত্রিত হতে হবে। পৃথক রাজ্যের দাবি জানাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: স্নানের গোপন ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি, অপমানে আত্মঘাতী তরুণী, গ্রেপ্তার প্রেমিক]
আলাদা রাজ্যের দাবির নেপথ্যে বঞ্চনা ছাড়া যে আর কিছু নেই, তাও এদিন স্পষ্ট করেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর আরজি, শিক্ষামন্ত্রী দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিক। বিজেপি বিধায়কের যুক্তি, কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। তার উপর আবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কারণেও স্কুল কিছুদিন বন্ধ ছিল। আবার গরমের ছুটি এগিয়ে এলে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না পড়ুয়াদের। এমনকি মানসিক অবসাদেও ভুগছে তারা। প্রয়োজনে উত্তরবঙ্গের স্কুলগুলিতে সকালে পঠনপাঠনেরও প্রস্তাব দেন বিজেপি বিধায়ক।
পরিকাঠামোমূলক উন্নয়নের কথা থাকলেও উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থার দিকে রাজ্য সরকার এতটুকু নজর দেয়নি বলেই অভিযোগ। শংকর ঘোষ বলেন, “রায়গঞ্জে এইমস খোলার কথা ছিল। কল্যাণীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজও কোনও কিছুতে স্বাবলম্বী হতে পারেনি। পরিকাঠামোর নাম করে সরকারি পয়সা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।”
বিজেপি বিধায়কের পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবির পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, “সরকারি নিয়ম জেলা বা মহকুমাভিত্তিক হতে পারে না। বৈষম্য সরকারের চেয়ারে বসে করা সম্ভব নয়। সে কারণেই দক্ষিণ এবং উত্তরবঙ্গে স্কুলগুলির ক্ষেত্রে আলাদা নিয়ম চালু করা সম্ভব নয়।” শান্ত উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করার লক্ষ্যে বিজেপি বিধায়ক প্ররোচনামূলক মন্তব্য করছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
দেখুন ভিডিও: