রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মঙ্গলবার সন্ধে থেকে কানাঘুষো শুরু হয়েছে এক তারকা-সহ দুই বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে। তাঁরা নাকি যোগ দিতে চলেছে তৃণমূলে, এমন খবরও মিলেছে। তবে তাঁরা কে কে সে বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন দুই বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ ও হিরণ চট্টোপাধ্যায়।
বিষয়টা ঠিক কী? সূত্র মারফত মঙ্গলবার সন্ধেয় জানা যায়, সম্প্রতি কামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যান দুই বিজেপি বিধায়ক। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। জানা যায়, দলবদলের জন্যই এই সাক্ষৎ-কথাবার্তা। শোনা যায়, তৃণমূলে যোগ দিলে কোন দায়িত্ব মিলবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপিতে একটা বড় ধাক্কা যে অনিবার্য, এমনটাই মোটের উপর স্পষ্ট হয়ে যায় গতকাল। কিন্তু এই দুই বিধায়ক কে কে, তা তিনি রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর জল্পনা।
[আরও পড়ুন: আজ থেকেই ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নিয়ে জনতার দুয়ারে দূতেরা, জনসংযোগে নামবেন মমতাও]
এসবের মাঝে মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক লাইভ করেন উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি দাবি করেন, অনেকেই তাঁকে ফোন করছেন। তিনি দলবদল করবেন বলেও নাকি খবর ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। শংকর ঘোষ বলেন, “বারংবার করে এই ধরনের খবর প্রচার করে আমার ইমেজ নষ্ট করা হচ্ছে। দলের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের নোংরা কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বারবার করে এই ধরনের খবর প্রচার করা হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।” এরপরই আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই বেশ কয়েকটি ছবি টুইট করেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। জানান, গ্লোবাল সামিটে যোগ দেওয়ার জন্য মধ্যপ্রদেশে রয়েছেন তিনি। ওয়াকিবহল মহলের দাবি, দলবদলুদের তালিকায় তারকা বিধায়ক রয়েছেন এমনটা শোনা যাওয়ার কারণেই এদিন ছবি পোস্ট করেছেন হিরণ। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তিনি কলকাতায় নেই ফলত কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই।