রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিজের গড়েই স্লোগান-পালটা স্লোগানে কার্যত মেজাজ হারালেন শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার কাঁথির ২১ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অধিকারী গড় যে ভাঙনের মুখে, তা স্পষ্ট বলেই খোঁচা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথির পুর এলাকায় ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৮, ১৯ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার সারেন তিনি। ‘দুয়ারে শুভেন্দু’ বলতেও শোনা যায় তাঁকে। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কনৌকপুর এলাকায় দলীয় প্রার্থী গোবিন্দ খাটুয়ার সমর্থনে প্রচার করেন শুভেন্দু। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান দিতে থাকেন বেশ কয়েকজন। তার জেরে কার্যত মেজাজ হারান শুভেন্দু। বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের তিনি বলেন, “এসব কেন করছ? এগুলো করবে না। সবাই নির্বাচনে প্রচার করবে।” তড়িঘড়ি কাঁথি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকা ছাড়েন শুভেন্দুও।
[আরও পড়ুন: ‘আমি সেলিব্রিটি, বাদাম আর বেচব না’, ঘোষণা ‘বাদাম কাকু’ ভুবন বাদ্যকরের!]
এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী এবং শাসকদলের মধ্যে চলছে জোর তরজা। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন পুর প্রধান সৌমেন্দু অধিকারী ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “যাঁদের যেমন সংস্কৃতি, তাঁরা তেমন কাজ করছে। আমরা এগুলো নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। সুষ্ঠুভাবে প্রচার চালিয়ে যাব।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন। তাঁর মতে, অধিকারী গড় যে ভাঙনের মুখে এটা তারই প্রমাণ।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার দুপুরে হাজরায় আশুতোষ কলেজের সামনে এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু যোগ দিতে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) সদস্যরা শুভেন্দুকে ঘিরে স্লোগান তোলেন। তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বিরোধী দলনেতা। গাড়ি থেকে নেমে পড়ুয়াদের দিকে এগিয়ে যান তিনিও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা তা সামলান। বিরোধী দলনেতাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে গন্তব্যে পাঠানো হয়। পরে ঘটনা নিয়ে টুইটও করেন শুভেন্দু।