সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেন (Local Train) চালুর দাবি করলেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। মঙ্গলবার সকালে গেদে স্টেশনে কৃষক স্পেশ্যাল ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে তিনি চাষীদের সুবিধার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য এই দাবি করেন। করোনা আবহেও দেশের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি কৃষক স্পেশ্যালের নাম কৃষি স্পেশ্যাল করার দাবি করে বলেন, “যেহেতু কৃষিজাত সামগ্রী বহনের এই ট্রেন, তাই নাম হোক কৃষি স্পেশ্যাল।”
[আরও পড়ুন: ফের বঞ্চিত বাংলা! প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির টাকা পাচ্ছেন না ১৫ লক্ষ কৃষক, জানাল রাজ্য]
প্রায় এক মাস ধরে ট্রায়াল রান দিয়ে সফল শিয়ালদহের কৃষক স্পেশ্যাল। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই স্পেশাল ট্রেনর উদ্বোধন করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আপাতত দু’টি কৃষক স্পেশ্যাল চলছে। একটি গেদে থেকে অন্যটি শান্তিপুর থেকে। সকাল সওয়া আটটার সময় গেদে থেকে আনুষ্ঠিকভাবে চলা শুরু করল এই ট্রেনটি। তবে আলোচনার মাধ্যমে ট্রেনটির সময় পরিবর্তনের কথা বলেন সংসদ।
বিকেল ৩.১০ মিনিটে ট্রেনটি ফের শান্তিপুর থেকে চলা শুরু করবে একইভাবে। ওই স্টেশনে সবুজ সংকেত দেবেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, “সবার জন্য ট্রেন না চললেও সাংসদ চাষিদের সুবিধা দিতে কৃষক স্পেশ্যাল চালানোর দাবি তুলেছিলেন। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার চাষিরা শহরে যাতে সবজি ও ছানা নিয়ে যেতে পারেন সেজন্য ট্রেনটি চলার অনুমতি দেওয়া হয়। ১২ আগস্ট থেকে স্পেশ্যাল ট্রেন দু’টি চলাচল শুরু করে যথেষ্ট সুফল পাওয়া তা স্থায়ীভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে ডায়মন্ডহারবার থেকেও এই ট্রেন চলবে। স্পেশ্যাল ট্রেনটিতে চারটি ভেন্ডার কামরা, তিনটি মোটর কোচ ও দু’টি যাত্রীবাহী কোচ রাখা হয়েছে।”
এদিকে হাওড়াতে এই কৃষক স্পেশ্যাল চালানোর পরিকল্পনা করেও তা আটকে রয়েছে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় না থাকায়। আগামী ১১ সেপ্টম্বর তিনি এলে তারপরই হাওড়ায় কৃষক স্পেশ্যালের উদ্বোধন হবে। রেলের এক বাণিজ্য অধিকর্তা বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায় ট্রেনটি চালানোর দাবি করায় ট্রেনটির অনুমোদন মিলেছে। ফলে কাটোয়া-হাওড়ার মাঝে এই বিশেষ ট্রেনটি চলবে। ব্যন্ডেলে ট্রেনটির শুভ সূচনা করা হবে। যা করবেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।” এদিকে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার দাবি করেন, তিনিও বিশেষ ট্রেনের দাবি করেছিলেন। এদিকে হাওড়ায় কৃষক স্পেশ্যাল চালুতে বিলম্বে ক্ষুব্ধ চাষিরা। অভিযোগ, রেল ভেন্ডার টিকিট দিচ্ছে না। ফলে চাষিরা শহরে আসতে পারছেন না। ফলে চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। অনেকে বাধ্য হয়ে সবজি, ছানা নিয়ে হাওড়া আসায় জরিমানা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে এই ট্রেন চালুর দাবি করেন।