দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা ঠিকমতো পাচ্ছেন কিনা, তা জানতে বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের সিংহের ভেড়ির ২২ নম্বর বুথে গ্রামবাসীদের ঘরে ঘরে গিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই গৃহবধূরা তাঁর কাছে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। কেন গ্যাসের দাম এত বাড়ছে, কেন উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধা মিলছে না? এমনই নানা প্রশ্নে তাঁকে জর্জরিত হতে হল। প্রশ্নের ঠিকমতো উত্তর দিতে না পারলেও অবশ্য তাঁদের অভিযোগের সুরাহার আশ্বাস দিলেন বিজেপি সাংসদ।
গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা, তা জানতে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। জবাব দিতে গিয়ে স্থানীয় গৃহবধূরা ক্ষোভের সঙ্গে সরাসরি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাংসদকে প্রশ্ন করেন। তাঁরা বলেন, গ্যাস ছাড়া জীবন অচল। উজ্জ্বলা প্রকল্পে গ্যাস পাচ্ছেন কিনা, সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, লকডাউনের (Lockdown) সময় একবার তাঁদের মধ্যে ওই প্রকল্পে কেউ কেউ একটা গ্যাস পেয়েছিলেন। অনেকে আবার সেটাও পান নি বলে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি কেরোসিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন গ্রামবাসীরা। কেন কেরোসিন তেল ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছে গেল, সরাসরি সেই প্রশ্ন তোলা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘নিঃশর্তে ক্ষমা চান দিলীপ ঘোষ’, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কুমন্তব্য নিয়ে রাজ্যপালকে নালিশ তৃণমূলের]
গ্রামের গৃহবধূদের এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ছিল না সংসদের কাছে। গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করেন সাংসদ। পরে সাংবাদিকদের লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, যাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাঁদের মুখ থেকে সমস্যার কথা শুনে তা মোবাইল অ্যাপে লিপিবদ্ধ করছেন। তিনি জানান, রাজ্যের মানুষের যে সুযোগ সুবিধাগুলো পাওয়ার কথা তা তাঁরা অনেকেই পাচ্ছেন না। তাই স্বচ্ছতা বজায় রেখে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সেইসব সমস্যা লিপিবদ্ধ করে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি দায়সারাভাবে বলেন, কিছুদিন আগেও গ্যাসের দাম ২০০ টাকা কমানো হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে বাজারের ওঠানামা করার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাসের দাম নিয়ে মানুষের সমস্যা হয় বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান সাংসদ।
[আরও পড়ুন: সস্তা হবে বিমানযাত্রা! অবশেষে বাণিজ্যিক উড়ান শুরুর অনুমতি ‘আকাশ এয়ার’কে]
এদিন সশক্তি অভিযানে এসে লকেট চট্টোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, ”এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন মানে রক্তারক্তির ভোট, মারামারির ভোট হয়। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয় না। মনোনয়নও জমা করতে দেওয়া হয় না।”