সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেওঘর (Deoghar) বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা শুরু হলেও এখনও রাতের উড়ানে অনুমতি নেই। কিন্তু দুই বিজেপি (BJP) নেতা নিশিকান্ত দুবে (Nishikant Dubey) ও মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari) নাছোড়বান্দা, তাঁদের চার্টাড বিমানকে ছাড় দিতে হবে। নিরাপত্তার কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তা মানতে না চাইলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে (ATC) ঢুকে জবরদস্তি করার অভিযোগ উঠল দুই গেরুয়া নেতা-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ঘটনায় আসরে নেমেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের (TMC) প্রশ্ন, বিজেপি নেতাদের জন্য কেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন হবে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ আগস্ট দেওঘরে বিমানবন্দরে (Deoghar Airport) ওই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে, মনোজ তিওয়ারি ছাড়াও দুবের দুই ছেলে বিমানবন্দর কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। নিয়ম ভেঙে এটিসি রুমে ঢোকেন তাঁরা। সন্ধে হয়ে গেলেও তাঁদের চার্টাড বিমানের উড়ানের জন্য জোর করেন। যদিও তা মানতে চাননি এটিসি কর্মীরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, সন্ধের পর উড়ানের অনুমতি নেই। উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসেই দেওঘর বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও প্রযুক্তিগত কারণে এখনও সেখানে রাতে উড়ানের অনুমতি দেয়নি অসামরিক বিমানমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: বিহারের বদলা মণিপুরে! নীতীশকে চমকে বিজেপিতে ৫ জেডিইউ বিধায়ক]
১ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের সিকিউরিটি অফিসার সুমন আননের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই নেতা-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদে জড়িয়েছেন দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাথ ভাজান্ত্রি ও বিজেপি নেতা নিশিকান্ত দুবে। একাধিক টুইটে ভাজান্ত্রি প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে অনুমতি না থাকা সত্বেও নেতা সন্ধের পর উড়ানের জন্য জোর করেন। নিরাপত্তা নিয়ম লঙ্ঘন করে নেতার এটিসি রুমে ঢোকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
উত্তরে নেতার পালটা দাবি, অনুমতি নিয়েই এটিসি রুমে ঢুকেছিলেন তিনি। তাছাড়া দেওঘর বিমানবন্দর উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হওয়ায় বিমানবন্দর ইন্সপেকশনে অধিকার রয়েছে তাঁর। নিশিকান্ত আরও অভিযোগ করেন, সেদিন জরুরি কাজে রাতের উড়ানে ধরতে না পারায় এখন তাঁকে হাই কোর্টে একটি মামলা লড়তে হচ্ছে। নেতার দাবি, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদতে আদালত অবমাননা করছে।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি দিয়ে দেশে নিম্নমুখী করোনার অ্যাকটিভ কেস, একদিনে টিকা দেওয়া হল প্রায় ২৬ লক্ষ]
এদিকে গেরুয়া শিবিরে নেতাদের এই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে টুইট করা হয়েছে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “বিজেপি নেতাদের বেলায় কেন নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন হবে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি এই ঘটনার ব্যাখ্যা দেবেন?”