সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী হিসেবেই পরিচিত বিজেপি (BJP) সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Singh Thakur)। ক’দিন আগেই পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়িয়ে টুইট করেন তিনি। এদিন নেত্রী অভিযোগ করলেন, লাগাতার মুসলিম বিরোধিতার দায়ে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই হুমকি দিয়েছে খোদ দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকর (Dawood Ibrahim’s brother Iqbal Kaskar)। গেরুয়া নেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রজ্ঞা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছেন। ওই ব্যক্তি বিজেপি সাংসদকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। প্রজ্ঞার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই হুমকি ফোন পান তিনি। যে ফোন করে, সে নিজেকে দাউদের ভাই ইকবাল কাসকরের লোক বলে পরিচয় দেয়। তার দাবি, মুসলিম বিরোধী মন্তব্যের জন্য প্রজ্ঞাকে খুন করা হবে। পালটা প্রজ্ঞা জানতে চান, ঠিক কোন মন্তব্যের জন্য তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাতে ওই ব্যক্তি উত্তর দেয়, নেত্রী ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিষদগার করেন। একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করেন, তাই তাঁকে খুন করা হবে। জবাবে বিজেপি নেত্রী বলেন, মুসলমানরা কী করে? তারা কি অমৃতবর্ষণ করে? নেত্রী ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি নীরব থাকে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রতিবাদীরা চাকরির ক্ষেত্রে পুলিশি ছাড়পত্র পাবেন না’, অগ্নিপথ বিতর্কে হুঁশিয়ারি বায়ুসেনা প্রধানের]
এই ঘটনায় শনিবার টিটি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি সাংসদ। পুলিশ জানিয়েছে সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘আমার বন্ধু আব্বাসের জন্য ইদে রান্না করত মা’, হীরাবেনের জন্মদিনে স্মৃতিচারণায় মোদি]
প্রসঙ্গত, পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মার নাম না করে প্রজ্ঞা টুইট করেছিলেন, “সত্যি বলা যদি অপরাধ হয় তবে আমিও অপরাধী।” প্রজ্ঞা আসলে ঘুরিয়ে বলেন, নূপুর শর্মা যা বলেছিল তা সত্যবচন। ঘরে-বাইরে দল যখন অস্বস্তিতে তখন দিল্লির বাসিন্দা বিজেপি নেত্রীর পাশে দাঁড়ান প্রজ্ঞা। ওই টুইট ছাড়াও ভোপালের এক সাংবাদিক বৈঠকে বিতর্কিত বিজেপি নেত্রী বলেন, “ভারত হিন্দুদের, সনাতন ধর্ম এখানেই থাকবে।” তাঁর কথায়, বিধর্মীরা “আমাদের দেবদেবী নিয়ে সিনেমা বানিয়েছে। তাদের কমিউনিস্ট ইতিহাস রয়েছে। কমলেশ তিওয়ারি মুখ খোলায় তাঁকে খুন হতে হল। কেউ (নূপুর শর্মা) কিছু বলেছে, তাই তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।”