রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সকালে সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। নিয়েছিলেন ইস্তফার দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোলবদল। দুপুরেই আবার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করলেন সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। গ্রুপে ফের যুক্ত হলেন তিনি।
শনিবার গ্রুপে ফিরে আসার পর সৌমিত্র খাঁ লিখেছেন, যুব মোর্চার জেলার কোনও কমিটিতে বদল হচ্ছে না। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) যে কমিটি শুক্রবার বাতিল করেছিলেন সেই কমিটিই বহাল থাকছে। এছাড়াও লেখেন, “তোমাদেরকে ছেড়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই ফিরে এলাম। টিএমসিকে হঠানোর জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি। জয় শ্রীরাম। জয় মা দুর্গা। বিজেপি জিন্দাবাদ। মোদি জিন্দাবাদ।”
[আরও পড়ুন: দুর্যোগ কাটল বঙ্গে, মহাষ্টমীর সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ, দেখা মিলল রোদেরও]
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপরই জেলায় জেলায় সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে যুব মোর্চার কমিটি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন তিনি। জেলায় যুব মোর্চার সভাপতি বাছাই নিয়ে আগে থেকেই মতানৈক্য চলছিল। সেই অবস্থায় যুব মোর্চার জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে দলের অন্দরেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। তবে শুক্রবারই দলের যুব মোর্চার জেলা কমিটি বাতিল করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জানান, অনিবার্য কারণবশত জেলার বিজেপির যুব মোর্চার পদ ও কমিটি বাতিল করা হল। যুব মোর্চার নয়া জেলা কমিটি ও সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন বিজেপির জেলা সভাপতিরা। রাজ্য সভাপতির আচমকা এহেন সিদ্ধান্তের পর তা নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়।
সৌমিত্র ঘনিষ্ঠ অনেকেই মনে করেন, তার জেরেই রাতারাতি যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফার ভাবনা সৌমিত্রর। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে নিজের সিদ্ধান্ত বদলের কথা জানান তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্য যুব মোর্চার পদ থেকে সৌমিত্র খাঁকে ইস্তফা দিতে বারণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ, ক্ষুব্ধ সৌমিত্র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সবটা জানিয়েছিলেন। জেলার যুব সভাপতিদের নাম নিয়ে দিলীপ ঘোষ আর সৌমিত্র খাঁর মধ্যে মতানৈক্য ও দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা, এমনটাই খবর।