রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে গেরুয়া শিবিরের নতুন করে কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী, রাহুল সিনহারা। কিন্তু ঠাঁই না হওয়ায় অভিমানে নিজের পদ ছাড়লেন বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন গোছানোর জন্য তাঁকে রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল দল। কিন্তু অভিমানে সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি অভিমানের কথা প্রকাশ করেছেন বলে খবর। যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি সাংসদ। সূত্রের খবর, রাঢ়বঙ্গের ইনচার্জ করা হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee)।
সোমবার বিজেপির ২০ সদস্যের কোর কমিটি (Core Committee) প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কোথাও নাম নেই সৌমিত্র খাঁ’র। এমনকী যুব মোর্চারও কোনও পদে নেই। সেখানে লকেট অগ্নিমিত্রা পলকে রাখা হয়েছে। অথচ এতদিন পর্যন্ত তিনি দলের যথেষ্ট ভরসাযোগ্য ছিলেন। যুব মোর্চার (Yuva Morcha) শীর্ষ পদ সামলানো থেকে পঞ্চায়েত ভোটে নিজের সংসদীয় এলাকার সংগঠনের নজর দেওয়া, তাঁর উপর দায়িত্ব সঁপেছিল গেরুয়া ব্রিগেড। তা দক্ষতার সঙ্গেই সামলেছেন তিনি। এত কিছুর পরও কোর কমিটিতে কেন তাঁর ঠাঁই হল না, তা নিয়ে অভিমানী হয়ে পড়েছেন সৌমিত্র খাঁ।
[আরও পড়ুন: অনশনে ২০১৪ TET উত্তীর্ণরা, তবু ‘নিয়ম ভেঙে নিয়োগ নয়’, সাফ জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ]
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, নতুন কোর কমিটি দেখে তাঁর মনে হয়েছে, দলের আর সেভাবে তাঁকে প্রয়োজন নেই, তাই কোর কমিটিতে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক হিসেবেও তিনি থাকতে চান না। ওই পদ ছেড়ে তিনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। অভিমানী সুরে সৌমিত্র খাঁ’র আক্ষেপ, এতদিন ধরে ভালবেসে তিনি দল করছেন। তার প্রতিদান কি এটাই হওয়া উচিৎ ছিল? যদিও প্রকাশ্যে তিনি জানিয়েছেন, এসব নিয়ে ভাবছেন না, তিনি আপাতত নিজের সংসদীয় এলাকাতেই মন দিয়ে কাজ করতে চান।
[আরও পড়ুন: ৪১.৫ কোটি কমার পরেও ভারতই বিশ্বের সর্বাধিক দরিদ্রের দেশ, রিপোর্ট রাষ্ট্রসংঘের]
এদিকে, নয়া কোর কমিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এই কমিটির বিরোধিতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট শুরু হয়েছে। জেপি নাড্ডা, অমিত মালব্যদের নাম করে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বঙ্গ বিজেপির সংগঠন সম্পর্কে তাঁরা ‘অজ্ঞ’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে।