টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ইদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়লেন বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পান সাংসদ। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি কর্মীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা, তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয়।
বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে ইদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী। সুভাষ সরকারের গাড়িতে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী দুই CISF জওয়ান এবং এক কর্মী। অভিযোগ, বাঁকুড়া সদর থানা এলাকার পাতালখুড়ি গ্রামের কাছে আচমকা পিছন থেকে সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। ছোঁড়া হয় পাথরও। গাড়ি কাচ ভেঙে সরাসরি ইট, পাথরের আঘাত লাগার আশঙ্কা ছিল সাংসদের। কিন্তু অল্পের জন্য তিনি বেঁচে যান, কোনও আঘাত লাগেনি সুভাষ সরকারের। সেখানেই গাড়ি থেকে নেমে সাংসদ থানায় ফোন করেন।
[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করোনা রোগীর দেহ, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে]
এই ঘটনার পর সাংসদ সুভাষ সরকার জানান, ”নির্দিষ্ট কর্মসূচিতে যোগ না দিয়েই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। থানায় লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই যুক্ত।” তবে তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল সাঁতরার কথায়, ”বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির অন্তর্কলহ চরম আকার নিয়েছে। ভোটের সময় এই সমস্ত বিজেপি নেতা-কর্মীরা তাঁদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও সেই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। তারই ফল কুড়াচ্ছেন সুভাষ সরকারের মত বিজেপি নেতারা।” হামলা নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতির প্রতিক্রিয়া, ”পুলিশ তদন্ত করলেই এই ঘটনার পিছনে কারা যুক্ত রয়েছে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তবে এদিনের ঘটনার পর সাংসদের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হতে পারে মত ওয়াকিবহাল মহলের।