বাবুল হক, মালদহ: তৃণমূলের অন্দরে রয়েছে বিজেপির ‘চর’, বিস্ফোরক দাবি গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। তিনি যা বলছেন, তা কি আদতে সত্যি? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। যদিও বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। একের পর এক ভোটে হারের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতেই সুকান্ত এমন দাবি করেছেন বলেই মত তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার দাবি করেছিলেন, বিজেপিতে ‘তৃণমূলের চর’ রয়েছে। দলে অনুশাসনের অভাবে ‘চর’ ঢুকে পড়ছে বলেই মত তাঁর। ওই ‘চর’দের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। গেরুয়া শিবিরের ঘরোয়া অশান্তি যে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, তা জগন্নাথ সরকারের কথায় আরও স্পষ্ট। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, বিজেপির ৮০ শতাংশ নেতাই দলবদল করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। এমনকী জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে সাংগঠনিক বৈঠকে কী কথাবার্তা হবে, তাও মুহূর্তেই জেনে যেতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে বচসার জের, বাঁকুড়ায় পিটিয়ে খুন বৃদ্ধকে, রাস্তায় দেহ ফেলে চলল বিক্ষোভ]
এই টানাপোড়েনের মাঝে মুখ খুলে নয়া চমক বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। পুরাতন মালদায় দলীয় কর্মসূচির ফাঁকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “প্রত্যেক দলই অপর দলে লোক ঢুকিয়ে রাখে। আমাদেরও (বিজেপি) কিছু লোক আছে, যাঁরা ওদিক (তৃণমূল) থেকে খবর দেয়।” সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে যে নয়া জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর টানাপোড়েন।
সুকান্ত মজুমদারকে খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, “উনি রাজনীতিতে শিক্ষানবিশ। তাঁকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। দু-চারটে কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, তাই বলছেন। ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে ভিতরটা। চাপের মুখে পালটা কথা বলেছেন। ছেলেমানুষি করেছেন। এছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে বিস্ফোরক, চাঞ্চল্যকর কোনও ব্যাপার নেই। দিলীপ ও সুকান্তর মধ্যে প্রলাপের লড়াই চলছে। ঘুম থেকে উঠে কে বক্তব্য রাখবেন তার লড়াই চলছে। ডাহা ফেল করা একজন সভাপতি কীই বা বলতে পারেন?” দলের অভ্যন্তরে ‘চর’ তত্ত্বই যে আপাতত শাসক-বিরোধীদের মূল আলোচ্য, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।