রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়ানোর অনুরোধ বিজেপি সাংসদের। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তাঁর অনুরোধ, নারীর ক্ষমতায়নে অনুদান বাড়িয়ে করা হোক ২ হাজার টাকা।
একুশে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের কথা ভেবে চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। মাসে মাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ১ হাজার টাকা। তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা পান ১২০০ টাকা। এবার তা বাড়িতে ২ হাজার করার আবেদন জানালেন পুরুলিয়ার সাংসদ। রাজ্য সরকারকে বিঁধে তাঁর দাবি, দেশের মধ্যে বংলায় মুদ্রাস্ফিতী সবচেয়ে বেশি। এখানে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি। তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত 'দালাল'দের হাতযশে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। যা সামলাতে মাসিক ১০০০-১২০০ টাকা যথেষ্ট নয়।
এ প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের তুলনা টানেন বিজেপি সাংসদ। চিঠিতে লেখেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া রাজ্য হয়েও মহিলাদের মাসে মাসে আড়াই হাজার টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পথে হেঁটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন মুখ্যমন্ত্রী। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের নেতা ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই-ইডি তদন্তে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। সাংসদের কথায়, "এই টাকা সঠিকভাবে ব্য়বহার করা হলে মাসে-মাসে মহিলাদের ২ হাজার টাকা দেওয়া কঠিন হবে না। অনুদান বৃদ্ধি হলে তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকৃত উদ্দেশ্যসাধন হবে। অন্যথায় এটা স্রেফ ভোট কেনার হাতিয়ার হয়েই থেকে যাবে।"
বিজেপি সাংসদের এই চিঠি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, অধিকাংশ সময় বঙ্গ বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দলেরই সাংসদে এই অনুদান বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।