বাবুল হক, মালদহ: ২১ তারিখ কাঁথিতে ফের সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের (TMC)। কিন্তু তা বাতিল করেছে জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু কেন বাতিল হল তৃণমূলের সভা, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। জানালেন, “আমাদের কাছে খবর ছিল, বিজেপি উসকানি দিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবে। পরে তা নিয়ে কুৎসা ছড়াবে। তাই আমরা সভা বাতিল করেছি। জেলার নেতারা অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন।”
কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে সভা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রাতেই তৃণমূলের সংগঠনের তরফে ঠিক করা হয়েছিল, ২১ তারিখ কাঁথিতে সভা করবেন তাঁরা। এদিকে এদিনই কাঁথিতে পালটা সভা করবেন বলে ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই মঙ্গলবার দলের তরফে বাতিল করা হয় তৃণমূলের সভা।
[আরও পড়ুন: বরানগরে বাড়ি ভেঙে প্রৌঢ়ার মৃত্যুর ঘটনার ষড়যন্ত্রী কাকা! দাবি মৃতার মেয়ের]
বুধবার মালদহে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন,”অভিষেকের সভায় জনজোয়ার। শহরে জনসমাগম হয়েছিল। সেদিন রাতেই ঠিক হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর আমরা সভা করব। পুলিশের অনুমতিও ছিল। কিন্তু এদিনই আবার শুভেন্দু ওখানে সভা করছেন। অভিষেককে টেক্কা দিতে ওকে জনভিত্তি প্রমাণ করতে হবে।”
সেই জন্যই কি সভা বাতিল করল তৃণমূল? জবাবে কুণাল জানান, একই পথ দিয়ে দু’দলের কর্মীরা আসবেন। আমাদের কাছে খবর ছিল, ওঁরা উসকানি দিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। পরে তা নিয়ে কুৎসা করবে। তাই সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন ওখানকার সাংগঠনিক নেতারা।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, এবার এক বিধায়কের কাজ দেখবেন অন্য বিধায়ক]
প্রসঙ্গত, বুধবারই কাঁথিতে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। উপরন্তু বিরোধী দলনেতাকে দেওয়া ডেডলাইনের শেষদিন ২১ ডিসেম্বর। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে এই সভার দিকেই।