সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পদত্যাগ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। কর্নাটকে মুডা প্রধানের ইস্তফার পরই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সদানন্দ গৌড়ার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এবার তাঁকে ইস্তফা দিতেই হবে।
মাইশূরু নগরোন্নন নিগমের (মুডা) দুর্নীতির আবহেই বুধবার মুডা সভাপতির পদ ছেড়েছেন কে মারিগৌড়া। সিদ্দারামাইয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মারিগৌড়া। শারীরিক কারণেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছেন তিনি। ইস্তফার জন্য কোনও রাজনৈতিক চাপ ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। মারিগৌড়ার কথায়, “ইস্তফা দেওয়ার জন্য আমার উপর কোনও চাপ ছিল না। শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। তাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিনি। এক সময় তিনিই আমাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। জেলা সভাপতির দায়িত্বে বা মুডার দায়িত্বে আমাকে কোনও দিন বেআইনি কিছু করার জন্য বলেননি।” মুডার দায়িত্ব ছাড়ার পর তিনি জানান, দু’বার স্ট্রোক হওয়ার কারণে তিনি এই দায়িত্ব আর সামলাতে পারছিলেন না। সেই কারণেই মুডার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
অতীতে একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছিলেন মারিগৌড়া। কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার গঠনের পর মারিগৌড়াকে মুডার সভাপতি পদে বসানো হয়। তবে মুডার জমি দুর্নীতিতে সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়ানোর পর থেকেই ঘরে বাইরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়ানোর জন্য তাঁকেই দায়ী করে কংগ্রেসের একাংশ। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছিল। ঘেরাও হতে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সভাপতি পদে ইস্তফা দেন মারিগৌড়া।
মারিগৌড়ার ইস্তফার পর বিজেপি সুর আরও চড়িয়েছে। বিজেপি নেত্রী শাইনা এনসি দাবি করেন, ইডির কাছে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সদানন্দ গৌড়া সুর আরও চড়িয়ে বললেন, যতদিন এই মামলাগুলির তদন্ত চলছে ততদিন সিদ্ধারামাইয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।