সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভায় বিজেপির বিপুল খরচের বহর দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। বিরোধীরা রীতিমতো আওয়াজ তোলেন গেরুয়া শিবিরের খরচের খতিয়ান তুলে। এত টাকার উৎস কী? কারাই বা বিজেপিকে অত খরচের জন্য অনুদান দিলেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে বেশ হইচই পাকিয়েছিল কংগ্রেস। এবার বিজেপির সেই বিপুল রোজগারের একাংশের উৎস জানা গেল। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ দু’বছর রাজনৈতিক দলগুলি কর্পোরেটদের কাছ থেকে যে চাঁদা পেয়েছে তাঁর ৯৩ শতাংশ গিয়েছে বিজেপির দখলে।
[আরও পড়ুন: রেলের বেসরকারিকরণের কোনও প্রস্তাব নেই, জল্পনা ওড়ালেন পীযূষ গোয়েল]
লোকসভা ভোটের ২ বছর আগে থেকে অর্থাৎ, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলি যে কর্পোরেট বা ব্যবসায়ীক সংস্থাগুলির কাছে চাঁদা পেয়েছে তাঁর ৯৩ শতাংশ গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। গত ২ বছরে ব্যবসায়ীক সংস্থাগুলির কাছে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেয়েছে ৯৮৫ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। এর ৯৩ শতাংশ অর্থাৎ, ৯১৫ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের খাতায় গিয়েছে মাত্র ৫.৬ শতাংশ অর্থাৎ ৫৫ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। তৃণমূলের খাতায় গিয়েছে মাত্র ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। বিরোধীরা বলছেন, এডিআরের এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ দিচ্ছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের লড়াইটি হয়েছে অসম। বিজেপির বিপুল ধনসমর্থনের কাছে হেরে গিয়েছে বিরোধীদের জনসমর্থন।
[আরও পড়ুন: অশনি সংকেত! কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে বেনজির হুমকি আল কায়দা প্রধানের ]
মজার কথা হল, এই যে বিপুল অর্থ সাহায্য, এই টাকার উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। আইন বদলে মোদি সরকারই এই অনুদানকারীদের তথ্য ধরাছোঁয়ার বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আর কারা চাঁদা দিল, সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আরও একটা তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হল, এই অর্থের মধ্যে রয়েছে বিদেশি অনুদানও। আগে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি সরাসরি বিদেশি সংস্থার অনুদান গ্রহণ করতে পারত না। মোদি সরকারই তাদের সেই রাস্তা খুলে দিয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, যেসব বৈদেশিক সংস্থার ভারতে শাখা রয়েছে এবং তাদের মালিকানা ৫০ শতাংশের কম, তারা এখন রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিতে পারে। তাই, মনে করা হচ্ছে বিজেপির পাওয়া এই বিপুল অনুদানের মধ্যে বিদেশি অনুদানও রয়েছে।
The post বিজেপির পাশেই ব্যবসায়ীরা, কর্পোরেট চাঁদার ৯৩ শতাংশ গেরুয়া শিবিরে appeared first on Sangbad Pratidin.