রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মোদি সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তি থেকেই বাংলায় (Bengal) জনসংযোগের ভিত আরও মজবুত করার শপথ আর ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প নিয়ে পথে নামল বিজেপি। গ্রামে ও শহরের কোনায় কোনায় দলের সাংসদ–বিধায়ক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাদের মানুষের পাশে থাকার কাজে নেমে পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ষপূর্তির দিন অর্থাৎ রবিবার থেকেই এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP)।
প্রত্যেক নেতাকে তাঁর নিজের কেন্দ্রে গ্রামাঞ্চল হলে ২টি করে পঞ্চায়েত ও শহর এলাকায় ২টি করে ওয়ার্ডে মানুষের সেবায় নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই মতো রবিবার থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন নেতারা। ৩০ ও ৩১ মে দু’দিনের এই প্রতীকী কর্মসূচি হলেও আগামী কয়েকদিন এই সেবা-ই সংগঠন কর্মসূচি চলবে। রাজ্যে পুরো কর্মসূচির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন দলের তিন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, সুকান্ত মজুমদার ও সৌমিত্র খাঁ।
[আরও পড়ুন: ‘দু-একজন যাবেন, তা নিয়ে ভাবার দরকার নেই’, দলত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ]
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার দু’বছর পূর্ণ হয়েছে ৩০ মে। মোদি সরকারের সাত বছর পূর্ণ হল। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলা মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ এই অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। আবার বাংলায় ভোটে পরাজয় ও উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন গুছিয়ে তোলার পাশাপাশি হারের কারণ খুঁজে বের করে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার বিষয়গুলি রয়েছে। এছাড়া, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে হবে। এছাড়াও, বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর মুষড়ে পড়া নেতা–কর্মীদের মাঠে নামিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানোটাও এখন বড় চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষদের কাছে। রাজনীতির ময়দানে তাদেরকে কাজে সক্রিয় রাখা ও জনগনকে বার্তা দেওয়া বিজেপি কর্মীরা পাশেই রয়েছে।
একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে দুর্গত এলাকার জন্য দলের তরফে আলাদা করে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে শামিল হচ্ছেন দিলীপ ঘোষ-সহ দলের সমস্ত সাংসদ ও বিধায়করা। এই সেবা-ই সংগঠন কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড। গত শুক্রবার ও শনিবার উলুবেড়িয়া-হলদিয়া-মহিষাদল-তমলুক-খেজুরি-কাঁথি-রামনগরে ত্রাণ বিলিতে অংশ নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার মেদিনীপুরের কামারপাড়া ও খড়গপুরে তাঁর উদ্যোগে চলা কমিউনিটি কিচেন পরিদর্শন করেন দিলীপবাবু। এদিনই হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সিঙ্গুরের তিনটি জায়গায় গিয়ে রান্না করা খাবার দুঃস্থদের হাতে তুলে দেন। তবে দলের শুধু সাংসদ-বিধায়করাই নন, পরাজিত প্রার্থীরাও এই সেবা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।