রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: অধিকাংশ জেলা সভাপতির পারফরম্যান্সে খুশি নয় রাজ্যে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে জেলা কমিটির মাথায় কোর কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হল। দলের একাংশ মনে করছে, জেলা নেতাদের মাথায় কোর কমিটি গঠন করার উদ্দেশ্য জেলা সভাপতিদের একচ্ছত্র ক্ষমতায় লাগাম টানাই। পাশাপাশি ঠিকমতো সংগঠনের কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় দুর্গাপুরে শেষ হওয়া রাজ্য বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়ে বলেছেন, দলের প্রতি আনুগত্য ও কাজ করার মানসিকতায় যদি ঢিলেঢালা দেখা যায় তাহলে সেই নেতাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সেমিফাইনাল বলছে বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তখন রাজ্য থেকে জেলাস্তরের একাধিক নেতার পার্টির কাজে ঢিলেঢালা মানসিকতা দেখার পরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, প্রতি জেলায় কোর কমিটি গঠনের যে নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিয়েছেন তার কারণ,
[আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিদের তো আর ভোটে লড়তে হয় না’, কলেজিয়াম বিতর্কের মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য রিজিজুর]
এক) কোর কমিটি গঠন হলে জেলায় দলের সাংগঠনিক বিষয়ে এককভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না জেলা সভাপতি ও তার টিম। মাথায় থাকা কোর কমিটিতে তা পাস করাতে হবে।
দুই) জেলায় দলের সংগঠনে নজরদারিও রাখবে এই কোর কমিটি। কোর কমিটির সদস্যরা লক্ষ্য রাখবে, দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ—বিক্ষোভ মিটিয়ে নতুন—পুরনো সকলকে নিয়ে যাতে জেলার টিম চলে। কাজের লোকের থেকে জেলা পার্টির ক্ষমতাসীন শিবিরের কাছের লোকেরা যেন বেশি গুরুত্ব না পায়।
তিন) কোর কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের। জেলা নেতারা যদি ঠিকমতো কাজ না করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পর্যবেক্ষকদের কাছে সরাসরি রিপোর্টও করবে কোর কমিটি।
সাংগঠনিক কাজে একাধিক জেলা সভাপতিদের ভূমিকায় অখুশি সুনীল বনসল থেকে মঙ্গল পাণ্ডে। পঞ্চায়েত ভোট কয়েক মাস পরেই। এখনও বহু জায়গায় অঞ্চল সম্মেলন বাকি। আবার রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাতদিনের মধ্যে জেলা কর্মসমিতির বৈঠক করার কথা।
[আরও পড়ুন: ফের গুরুং ঘনিষ্ঠতা, মুখে গোর্খাল্যান্ড সুর! বিনয় তামাংকে ছেঁটে ফেলার ইঙ্গিত তৃণমূলের]
কিন্তু ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কোন কোন জেলা কর্মসমিতির বৈঠক করতে পারবে তা রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের শেষদিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে জিজ্ঞেস করলে কোনও জেলা সভাপতি দিন জানাতে পারেননি। এতে ক্ষুব্ধ হন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। আবার সংগঠনের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে কি না তা দেখতে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও জেলার ইনচার্জদের উপরও নজরদারি রাখবেন সুনীল বনসল থেকে মঙ্গল পাণ্ডে।