রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূলের (TMC) গঙ্গা আরতির পরিকল্পনা হাইজ্যাক করল বিজেপি! বারাণসী, হরিদ্বারের মতো কলকাতায় গঙ্গার ধারে গঙ্গারতির পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য় প্রশাসন। তার আগেই গঙ্গা আরতি করতে উদ্যোগী বঙ্গ বিজেপি (BJP)। আজ, মঙ্গলবার বাজে কদমতলা ঘাটে গঙ্গায় আরতি ও পুজোর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার কথা। কিন্তু সেই গঙ্গা আরতির পুলিশি অনুমতি এখনও মেলেনি। অথচ গঙ্গা আরতি করতে বদ্ধপরিকর বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে ইতিমধ্য়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
এই গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছে বঙ্গ বিজেপির ‘নমামি গঙ্গে’ শাখা। উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপির একাধিক নেতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ধর্মীয় আবেগকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
[আরও পড়ুন: S জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা]
এদিন বেলা অবধি পুলিশি অনুমতি মেলেনি। যা নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গঙ্গা আরতি নিয়ে আপত্তির কারণ বিজেপির ভূত। বিজেপি আতঙ্কে ওরা ঘুমাতে পারছে না। যারা রাষ্ট্রবাদী, সনাতন সংস্কৃতির ধারক বাহক, তাদেরকে বাধা দেওয়াই এদের কাজ। পুলিশ বলে কিছু নেই।” কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদারও। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশে তিনি লেখেন, “বিজেপির গঙ্গা আরতির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। হিন্দুদের প্রতি এত ঘৃণা কেন?”
মাস দেড়েক আগে কলকাতার গঙ্গাপাড়ে গঙ্গা আরতি চালুর কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বাজে কদমতলা ঘাটে জায়গা চিহ্নিত করে ফেলেছে কলকাতা পুরসভা। বারাণসীতেও পুরসভার একটি টিম যাচ্ছে। এর আগেই রাজনৈতিক উদ্দেশে রাজ্যে প্রশাসনের পরিকল্পনা বিজেপি হাইজ্যাক করল বলে অভিযোগ শাসক দলের।
এদিকে পুলিশি অনুমতি না থাকায় বাবুঘাটে বাধা বিজেপির মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। তাদের দাবি, আপাতত রাজ্যে জি-২০ সম্মেলন ও গঙ্গাসাগরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাই গঙ্গাসাগরের পর বিজেপিকে পুনরায় আবেদন করতে বলা হয়েছে।