কৃষ্ণকুমার দাস: চৈত্রের শেষদিনই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। বাংলা নববর্ষের ঠিক আগের দিনই কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। প্রতি বছরই চৈত্রের শেষদিন কালীঘাটে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরেও তার অন্যথা হবে না। ওইদিনই কালীঘাট স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করতে চলেছেন তিনি বলেই খবর। নতুন স্কাইওয়াক দিয়ে হেঁটেই হয়তো পুজো দিতে যেতে পারেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বছরের শেষদিন কালীঘাট স্কাইওয়াক উদ্বোধন হবে। সময় ও সূচি এখনও স্থির হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লন্ডন থেকে ফিরে সেসব স্থির করবেন।" এদিকে, শেষ মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াক এবং কালীঘাট টেম্পল রোড সাজানোর কাজ।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণেশ্বরে রানি রাসমণি স্কাইওয়াক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের দিনই মমতা কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সেটা ২০১৮ সালের নভেম্বর। দক্ষিণেশ্বরের আদলে কালীঘাটের স্কাইওয়াক তৈরির জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। এসপি মুখার্জি রোড থেকে কালীঘাট টেম্পল রোড পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো মিটার লম্বা একটি স্কাইওয়াক তৈরির বরাতও দেওয়া হয়। ঠিক হয় স্কাইওয়াক ওঠার জন্য থাকবে তিনজোড়া চলমান সিঁড়ি। যদিও শুরুর দিকে দোকানপাট সরানো, হকারদের আপত্তি এসবের জন্য কাজ শুরু হতে ২০২১ সালের শেষদিক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বর্তমানে হকার পুনর্বাসনের সমস্যা মিটে গিয়েছে। স্কাইওয়াকের কাজও সম্পূর্ণ। এবার পালা উদ্বোধনের। এদিকে, কালীঘাট মন্দিরের মাথায় বসানো হয়েছে তিনটি সোনার চূড়া। নিখাদ ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিন তিনটে সোনার চূড়া। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ৫০ কিলোগ্রাম সোনা ব্যবহার করা হয়েছে মন্দিরের চূড়োয়। সোনার ছোঁয়া লাগলেও আগের স্থাপত্যের বদল করা হয়নি।