সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট না দেওয়ার জন্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে শোকজ করল বিজেপি। চলতি লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি হাজারিবাগের সাংসদ। সোমবার নিজের কেন্দ্রে ভোটও দেননি তিনি। তার পরেই সাংসদের কাছে জবাবদিহি চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha 2024) শুরু থেকেই বারবার নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠেছে হাজারিবাগের বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত সিনহার বিরুদ্ধে। প্রার্থী ঘোষণার আগেই সোশাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচন থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। কারণ রাজনীতি নয়, আগামী দিনে অন্য কোনও কাজে মন দিতে চান তিনি। ভারত-সহ গোটা বিশ্বে পরিবেশ রক্ষার কাজ করতে চান বলে জানান হাজারিবাগের সাংসদ। উল্লেখ্য, ওই একই সময়ে রাজনৈতিক দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন গৌতম গম্ভীরও। পরে কেকেআরের মেন্টর হিসাবে আইপিএলে কামব্যাক করেন পূর্ব দিল্লির বিদায়ী বিজেপি সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ২০১৯-এর চেয়েও বেশি আসন নিয়ে ফিরবেন মোদি! কী ভবিষ্যদ্বাণী পিকের?]
জয়ন্তের আবেদন মেনেই হাজারিবাগ তাঁর পরিবর্তে থেকে মণীশ জয়সওয়ালকে টিকিট দেয় বিজেপি (BJP)। কিন্তু তার পর থেকেই রাজনীতি থেকে কার্যত অদৃশ্য হয়ে যান জয়ন্ত। দলীয় সংগঠনের কাজ হোক বা প্রার্থীর হয়ে প্রচার, কোনও ক্ষেত্রেই তাঁর দেখা মেলেনি। তার জেরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জয়ন্তকে নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল। সেই ক্ষোভ কার্যত বিস্ফোরণের আকার নিয়েছে সোমবার। হাজারিবাগে নির্বাচন থাকলেও ভোট দিতে যাননি বিদায়ী সাংসদ জয়ন্ত সিনহা।
গোটা ঘটনায় বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মত ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) বিজেপির রাজ্য সভাপতি আদিত্য সাহুর। তিনিই বিদায়ী সাংসদকে নোটিস পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কেন দলীয় কাজে অংশ নেননি, কেন ভোট দেননি-এমন নানা প্রশ্ন তুলে ধরে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। দুদিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে তাঁকে। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনও চুপ জয়ন্ত সিনহা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৪.৭৯ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন তিনি।