রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে ক্রমশই বাক তরজায় জড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষ। ঝাঁজ বাড়ছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাতেও। শনিবার ভাঙড়ের বামনঘাটা চা চক্রে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি।
এদিন সকালেও আরও একবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তোলেন তিনি। আর সেই অভিযোগকে হাতিয়ার করেই শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “যেদিন সত্যি সত্যি মারতে শুরু করব, ব্যান্ডেজ বাঁধার জায়গা পাবে না।” বৃহস্পতিবার রাত থেকে দফায় দফায় চলা কোচবিহারের হিংসা নিয়েও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের হারার সম্ভবনা যত বাড়ছে তত হিংস্র হচ্ছে। আরও খুন বাড়বে। পুলিশকে পুরো নপুংসক বানিয়ে রাখা হয়েছে।” উল্লেখ্য, শুক্রবারই অনুব্রত মণ্ডল কেতুগ্রামের সভা থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কড়া ভাষায় বিঁধেছিলেন। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ এখানে এসে মেরে দেব, কেটে দেব বলছে। মানুষ এসব বরদাস্ত করবে না। তারাই প্যান্ট খুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে।” সেই আক্রমণের পালটা হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষ দিলেন বলেই মনে করছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: বেধড়ক মারধরের পর বিজেপি কর্মীর চোখ খুবলে নেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল]
শান্তিনিকেতনে প্রতীচী বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিজেপির কারও সার্টিফিকেট লাগবে না। উনি যাঁদের হয়ে ব্যাটিং করছেন সেটাই করুন। অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) একজন অসফল মুখ্যমন্ত্রীর কথায় প্রভাবিত হলে সেটা দুর্ভাগ্যের।” শনিবারের চা চক্রেও আরও একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাম না করে ‘ভাইপো’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। পিএম কিষাণ যোজনা ইস্যুতেও সুর চড়িয়েছেন তিনি। কাটমানি ইস্যুতেও রাজ্যকে বিঁধেছেন তিনি। তাঁর দাবি, “চাষিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনেক কিছু করেছে। কালীঘাটে এখন প্রণামী দিতে হয়। কাটমানি কাউকে খেতে দেব না। দিদির ভাইরা ৫ টাকায় আলু কিনে ৪৫ টাকায় বিক্রি করছে।” যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পালটা প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।