স্টাফ রিপোর্টার ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহল সফরে গিয়ে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিজের পূর্বসূরিকে বাড়িতে না পেলেও দিলীপবাবুর মা স্বাগত জানান সুকান্তকে। তিনি নিজের হাতে পিঠে খাইয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।
এদিন, সভার আগে কুলিয়ানা গ্রামে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাড়িতে যান সুকান্ত মজুমদার। তবে দিলীপ ঘোষ যথারীতি বাড়িতে ছিলেন না। দলের রাজ্যের সভাপতি হওয়ার পর থেকে দলের কাজে বাইরে বাইরেই থাকেন তিনি। পদ গেলেও দায়িত্ব এখনও কমেনি। এখনও তিনি দলের কাজেই বাড়ির বাইরে থাকেন। তবে দিলীপবাবু না থাকলেও আপ্যায়নের কমতি হয়নি সুকান্তর জন্য। সেখানে দিলীপ ঘোষের মা তাঁকে স্বাগত জানান। দিলীপের মায়ের হাতের তৈরি পিঠে খান বিজেপির (NB) রাজ্য সভাপতি।
[আরও পড়ুন: উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের, আটকে গেল কর্মশিক্ষকদের চাকরি]
এর আগে প্রথমেই ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিপাড়া অঞ্চলের ঠাকুরথান গ্রামে গিয়ে জনসংযোগের পাশাপাশি এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্থানীয় বিজেপি কর্মী শত্রুঘ্ন মুদির বাড়িতে হাতে তৈরি শালপাতায় মধ্যাহ্নভোজ সারেন। মেনুতে ছিল ভাত, মাছ,আলু পোস্ত।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী-ক্ষোভের আগুন গুজরাট কংগ্রেসে, প্রদেশ দপ্তরে ভাঙচুর চালাল একদল কর্মী]
এদিন গোপীবল্লভপুর দুই নম্বর ব্লকের চোরমুন্ডি বীরসা ডেরাতে বীরসা মুন্ডার জন্মদিবসের সভায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তির ধনুক নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নামা উচিত। তৃণমূল নেতাদের তীর ধনুক দেখানো উচিত। যতক্ষণ না অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হচ্ছে ততক্ষণ তীর ধনুক দেখানো উচিত। মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “আপনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আদিবাসী ভাই-বোনেদের খ্যাপাচ্ছেন। আদিবাসীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আছে। সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন, বিকাশ করতে চাই। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শুধু রাজনীতি করছেন। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে জল, জমি, অধিকার আদিবাসী সমাজের হাতে থাকবে। আদিবাসী সমাজের অধিকারের জন্য, পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করার জন্য আমাদের এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।”