অর্ক দে, বর্ধমান: বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলাতেও এবার হুঁশিয়ারির সুর। বিরোধীদের দিকে অস্ত্র তোলার হুমকি দিলেন তিনি। সুকান্তর ‘প্ররোচনামূলক’ মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা। পালটা জবাব তৃণমূলের।
বুধবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। তাতে অংশ নেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, “ধমক চমক আর দেখতে রাজি নই। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি। আমরা মায়ের শান্তিপূর্ণ ছেলে। মায়ের উপর আঘাত এলে অস্ত্র তুলতে বাধ্য হব।” আগামী ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চ মাসে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই ইঙ্গিত পাওয়ামাত্রই দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বার্তাও দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নিজের নিজের এলাকাকে দুর্গে পরিণত করুন। তৃণমূলকে আমরা ভোট লুট করতে দেব না।”
[আরও পড়ুন: উল্টোডাঙায় যকের ধন! ব্যবসায়ী আমির খানের সঙ্গীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ দেড় কোটি]
সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারিকে স্বাভাবিকভাবেই ভাল চোখে দেখছে না বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি মন্তব্য যথেষ্ট উসকানিমূলক বলেই দাবি তাঁদের। তৃণমূলের তরফেও সুকান্তর মন্তব্যের নিন্দা করা হয়েছে। তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “নিজেদের চেয়ার বাঁচাতে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। কেউ কারও ঘাটতি মেটাতে অশান্তির কথা বলবে আর তারপর কোথাও কিছু ঘটলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি আসবে। বাংলার রাজনীতিতে এটা ঠিক নয়।” কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই বাংলায় দিদি, মোদি সকলের হাতেই অস্ত্র। বাড়ি বাড়ি তৈরি হচ্ছে বোমা। এখানে কেউই অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়।”
উল্লেখ্য, বুধবার থেকে বঙ্গ বিজেপিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কোর কমিটিতে জায়গা না পেয়ে অভিমানে নিজের রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক পদ ছাড়েন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। আর তারপরই ক্ষোভ সুকান্তর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। “অযোগ্য নেতাদের নেতৃত্ব মানা কঠিন” বলেই দাবিও করেন তিনি। বঙ্গ বিজেপির দুই নেতার ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে চলছে আলোচনা।