রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লড়াইয়ের আদর্শ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁরই হাত ধরে, চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে শিখেছেন। সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, পা মিলিয়ে লড়াই করতে চান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েই লড়াইয়ের বার্তা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর বুঝিয়ে দিলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও সংঘাতের প্রশ্ন নেই, বরং তাঁর পরামর্শ নিয়েই রাজ্য সভাপতির পদ সামলে চলবেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হওয়ায় দিলীপ ঘোষের মনেও যদি বিন্দুমাত্র রোষের জন্ম হয়ে থাকে, তাও একনিমেষে উড়িয়ে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার রাতে রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে বড়সড় রদবদল ঘটেছে। প্রায় ৬ বছর পর রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর জায়গায় এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ। সোমবার রাতে নিজের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালেই কলকাতায় (Kolkata)চলে এসেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর মুরলীধর সেন লেনে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে নবনিযুক্তকে বরণ করে নেন সদ্যপ্রাক্তন। দিলীপ ঘোষ নিজে পদ্মফুল, কলম, মালা দিয়ে স্বাগত জানান সুকান্ত মজুমদারকে। বলেন, ”আপনি শিক্ষক মানুষ, তাই পেন দিলাম আপনাকে।” এছাড়া দিলীপ, সুকান্তকে সংবর্ধনা দিয়েছেন দলের আরেক নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে এই অনুষ্ঠানে বিজেপির সদর দপ্তরে দেখা গেল বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়কেও।
[আরও পড়ুন: বাংলার চিকিৎসা জগতে ইতিহাস, রোগীর শরীরে সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন কলকাতায়]
সহকর্মীদের আন্তরিকতা দেখে আপ্লুত সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”দিলীপদার থেকে লড়াই শিখেছি। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে, সকলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলব।” তাঁর মতে, দিলীপ ঘোষ নিজে এক ‘ব্র্যান্ড’। তাঁর বিকল্প কেউ নেই। রোজ সকাল সকাল দিলীপের ‘চায়ে পে চর্চা’ চলবে বলেও জানান সুকান্ত।
[আরও পড়ুন: ধারাবাহিক ডাকাতির ঘটনার নেপথ্যে বিহারের গ্যাং? কলকাতায় দিনেই বাড়ল পুলিশের টহলদারি]
এরপরই দলবদলকারী নেতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন নতুন রাজ্য সভাপতি। বলেন, ”কিছু নেতা হয়ত এদিক-ওদিক করছেন। তবে নেতা গেলে আদর্শ যায় না। আদর্শ বিজেপির সঙ্গে আছে। কেউ যদি অন্য দলে চলে গিয়ে ভাবে, বিজেপিকে শেষ করে দেব, তা হয় না। তারাই অস্তিত্ব হারাবে।” পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদারের আরও বার্তা, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক, যদি তৃণমূলের সাহস থাকে। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ১৮টির বেশি আসন জিততে হবে, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে বার্তা সুকান্তর।