সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে পদ্মফুল ফোটানোর আশা দেখিয়েছিল অধিকারী পরিবার (Adhikari Family)। গত ডিসেম্বরই অমিত শাহের হাত ধরে ফুলবদল করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে হাজির ছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারীও। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। আরেক সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী দল না ছাড়লেও বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছেন। মেদিনীপুর জয়ে বিজেপির তুরুপের তাস ছিল এই অধিকারী পরিবার। কিন্তু কোথায় কী! যে বুথে এই প্রভাবশালী পরিবার ভোট দিয়েছেন, সেখানেই তো পিছিয়ে গেরুয়া শিবির (BJP)। মেদিনীপুরের রাজনীতি শান্তিকুঞ্জ থেকে পরিচালিত হয়, এই মিথ কি চুরমার হয়ে গেল একুশের নির্বাচনে? পরিসংখ্যান অন্তত তেমনই বলছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখল করেছে ১০টি। বাকি ছ’টি আসনে কোনওরকমে মুখ বাঁচিয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছে খোদ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রাম। যেখানে অনেক টানাপোড়েনের পর মাত্র ১৯০০ ভোটে জিতেছেন শুভেন্দু। এবার তিনি নন্দীগ্রামের ভোটার। কিন্তু তাঁর পরিবার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। তাঁরা যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেখানে পিছিয়ে বিজেপি।
[আরও পড়ুন : শীতলকুচি কাণ্ডের জের! সাসপেন্ড কোচবিহারের পুলিশ সুপার]
তবে একা অধিকারী পরিবার নয়। একই পরিস্থিতি দিলীপ ঘোষের গ্রামেও। তাঁর পরিবার বিনপুরের যে বুথে ভোট দিয়েছে, সেখানে পিছিয়ে বিজেপি। এমনকী, ঝাড়গ্রামের একটি বিধানসভা আসনেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, যেখানে নিজ নিজ এলাকার দলের উপরতলার নেতাদের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে সেখানে কীভাবে গোটা রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা?